বন্ধ্যাকরণের প্রায় দু’বছরের মাথায় গর্ভবতী হয়ে পড়ায় স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন এক বধূ। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের ঘটনা। ২০১৪ সালে ওই হাসপাতালে বন্ধ্যাকরণ অস্ত্রোপচার করান রায়গঞ্জের মহিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষণীয়া এলাকার ওই মহিলা। সম্প্রতি তিনি গর্ভতী হয়ে পড়েন। এর পরেই স্থানীয় সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য জেঠা মুর্মুর নেতৃত্বে পরিবারের লোকেরা জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বন্ধ্যাকরণের অস্ত্রোপচারে গাফিলতির অভিযোগ জানান। জেলাশাসক সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স পাঠিয়ে রোগিণীর রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন। জেলাশাসকের নির্দেশে হাসপাতালে যান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা ও উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনুপ হাজরা। তাঁরা হাসপাতালের সুপার গৌতম মণ্ডল ও সহকারী সুপার গৌতম দাসকে ওই বধূর চিকিৎসা ও ভবিষ্যতে প্রসবের ব্যাপারে সব রকম ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন। জেলাশাসক আয়েশা রানি বলেন, ‘‘মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে বলেছি। কোনও গাফিলতি থাকলে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধার দাবি, ‘‘বন্ধ্যাকরণের দুমাসের মধ্যে ওই গৃহবধূ অন্ত্বসত্ত্বা হয়ে পড়লে রাজ্য সরকার তাঁকে ক্ষতিপূরণ দিত।’’ তা ছাড়া, বন্ধ্যাকরণের অস্ত্রোপচারের প্রায় দেড় বছর পরে কোনও কারণে ডিম্বাশয় থেকে জরায়ু পর্যন্ত নালিকা সম্প্রসারিত হয়ে যাওয়ার কারণে এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy