শীতের কামড় এড়াতে মাথা-মুখ ঢেকে যাত্রা বালুরঘাটে। শুক্রবার অমিত মোহান্তের তোলা ছবি।
শিলাবৃষ্টির হাত ধরে শুক্রবার জাঁকিয়ে শীত পড়লো দক্ষিণ দিনাজপুরে। শুক্রবার সকালে কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাসের জেরে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রির নীচে নেমে যায়। দুপুরের দিকে মেঘ কখনও রোদের উঁকিঝুঁকিতে তাপমান কিছুটা বাড়লেও কনকনে ভাব বজায় ছিল। সন্ধ্যার পর ফের পারদ নামতে থাকে। রাস্তাঘাটে সবাই গরম জামায় আপাদমস্তক মুড়ে বেরোন।
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলাজুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়। তার মধ্যে তপন ব্লকের পশ্চিম অংশ বরাবর বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় প্রবল শিলাবৃষ্টি হয়। তাতে তপনের আউটিনা অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
জেলা কৃষি দফতরের উপ অধিকর্তা জ্যোতির্ময় বিশ্বাস বলেন, ‘‘আউটিনা অঞ্চলে ৩২০ হেক্টর জমির সর্ষে এবং আলু চাষের ক্ষতি হয়েছে।’’ তিনদিক বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ঘেরা দক্ষিণ দিনাজপুরের ওই সব অঞ্চলে শিলাবৃষ্টির জেরে ঠান্ডা পড়তে শুরু করে বলে আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন।
গোটা ডিসেম্বর জুড়ে ঠান্ডা তেমন ছিল না জেলায়। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তা ফিরে আসতেই শহরের গরম পোশাক মোজা মাফলার কেনার ব্যস্ততা বেড়েছে। তাতে দোকানিরা কিঞ্চিত খুশি।
বালুরঘাট শহরের ডানলপ মোড়ের এক নামী কোম্পানির স্থানীয় দোকানের ম্যানেজার জানান, ডিসেম্বরের পরিস্থিতি দেখে আগেভাগে জ্যাকেটে ২৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা করা হয়। তবে জাঁকিয়ে শীত পড়লেও বালুরঘাটের বড় পোশাক বিপণিগুলি সোয়েটার, জ্যাকেটে ঘোষিত ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ছাড় অব্যাহত রাখছে বলে দোকান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
তবে শীতের মধ্যে বৃষ্টির জেরে হঠাৎ করে ঠান্ডা পড়ার ফলে কোল্ড ডায়েরিয়া, সর্দিকাশির থেকে সতর্ক করছেন চিকিৎসকেরা। এই সময়টা শিশু এবং বয়স্কদের খাবার ও বিশুদ্ধ পানীয় জল পানের দিকে নজর দিতে হবে বলে তাঁরা পরামর্শ দিয়েছেন। তবে জাঁকিয়ে শীত পড়ায় মশামাছি থেকে উৎপন্ন হওয়া রোগ-জীবাণুর প্রকোপও কমবে বলে চিকিৎসকেরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy