ফের দু’হাজার টাকার জালনোট উদ্ধার হল মালদহের বৈষ্ণবনগরে। চলতি মাসে এই নিয়ে ছ’বার। সোমবার রাতে বৈষ্ণবনগর থানার পিটিএস মোড় থেকে আট হাজার টাকার জালনোট সমেত দুই কারবারিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা হল সাহিদুল রহমান ও মইদুল রহমান। তারা মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কা থানার গোপালনগরের বাসিন্দা। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে নতুন দু’হাজার নোটে আট হাজার টাকা। উদ্ধার হওয়া নোটগুলির মান অত্যন্ত উন্নতমানের বলে দাবি পুলিশের।
জালনোট বাজারে ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন জেলার ব্যবসায়ী মহল। মালদহের মার্চেন্ট চেম্বার অফ কর্মাসের সম্পাদক উজ্জ্বল সাহা বলেন, ‘‘জালনোট বন্ধ হবে ভেবে লোকসান হলেও কেন্দ্রের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে আমরা মেনে নিয়েছিলাম। তবে নোট বাজারে আসার মাস তিনেকের মধ্যে বাজারে নতুন দু’হাজারের জালনোট ছড়িয়ে পড়ায় আমাদের সমস্যা সেই তিমিরেই রয়ে গেল। এমন কী, বড় নোট হওয়ায় লোকসানের পরিমানও দ্বিগুণ হল।’’ মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘ধৃতদের হেফাজতে চেয়ে মালদহ জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে। তারা নোট কোথা থেকে পেয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
গত, নভেম্বর মাসে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল হয়। নোট বাতিলের ফলে মালদহের কালিয়াচক ও বৈষ্ণবনগরে ধাক্কা খায় জালনোটের কারবারিরা। তবে নোট বাতিলের দু’মাসের মধ্যে গত, ২৩ জানুয়ারি বৈষ্ণবনগরের মজনুনগরে উদ্ধার হয় নতুন দু’হাজার টাকার একটি জালনোট। তারপর শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি মাসেই সাত বার জালনোট উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মুর্শিদাবাদের ওই দুই যুবক বৈষ্ণবনগরের পিটিএস মোড়ে দু’টি মোটর বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় আট হাজার টাকার জালনোট। বৈষ্ণবনগর থানার সীমান্তবর্তী গ্রাম কামাতবাজার থেকে ওই নোট গুলি সংগ্রহ করে তারা নিয়ে যাচ্ছিল বলে প্রাথমিক অনুমান।
ওই দুই যুবক বিভিন্ন চোরা কারবারের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি পুলিশের। তাদের কাছ থেকে দু’টি মোটর বাইক ও দু’টি মোবাইল ফোনও উদ্ধার হয়েছে। সেই মোবাইল ফোনের কল লিষ্ট খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, জানুয়ারি মাসের দিকে যে নোট উদ্ধার হয়েছিল তার থেকে ৮০ শতাংশ ভালো মানের জালনোট মিলেছে এ দিন। বাজারে নমুনা হিসেবে ওই নোট গুলি ব্যবহার করা হত বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। মঙ্গলবার ধৃতদের মালদহ জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy