পাক্ষিক মজুরি না পেয়ে বাগানের দফতরে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন চা শ্রমিকেরা। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর ডুয়ার্স সফর শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ওদলাবাড়ি লাগোয়া মানাবাড়ি চা বাগানে এই শ্রমিক বিক্ষোভ হয়। মজুরির দাবিতে কাজে যোগ না দিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন তাঁরা। সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলে। কোনও শ্রমিক সংগঠনের উপর আস্থা নেই, এই বক্তব্য জানিয়ে সংগঠনের পতাকা ছাড়াই আন্দোলনে সামিল হন তাঁরা।
গত শনিবার শ্রমিকদের পাক্ষিক মজুরি মেলার নির্ধারিত দিন থাকলেও মজুরি মেলেনি। সোমবারেও মজুরি না মেলায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকরা। বাগান ম্যানেজার বেদপ্রকাশ দফতরে কাজ করার সময়েই বিক্ষোভ দেখাতে যান তাঁরা। ম্যানেজার শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য বাইরে যেতেই দফতর তালাবন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। দীর্ঘক্ষণ দফতরের বাইরে গাড়ির ভেতরে বসে থাকতে হয় শ্রমিক বিক্ষোভে আটকে পড়া ম্যানেজার বেদপ্রকাশকে।
দীর্ঘদিন ধরেই মানাবাড়ি চা বাগানে মজুরি নিয়ে সমস্যা চলছে বলে জানা গিয়েছে। বকেয়া গ্র্যাচুইটি, পিএফ, রেশন, জ্বালানি কাঠ এবং বেহাল শ্রমিক আবাসের সমস্যাও রয়েছে সেখানে। চলতি মাসের গোড়াতেও পাক্ষিক মজুরির দাবিতে বিক্ষোভ করেছিলেন শ্রমিকরা। মালিক পক্ষ মজুরি মিটিয়ে দেওয়ায় ফের কাজে যোগ দেন শ্রমিকরা। আবার পাক্ষিক মজুরি বকেয়া হল শ্রমিকদের।
বাগান শ্রমিক রূপা থাপা, সোমরা ওঁরাওরা জানান, বাগানে দীর্ঘদিন ধরে মজুরি পেতে সমস্যা চলছে , তা সত্বেও প্রশাসনিক কোনও উদ্যোগ নেই। মানাবাড়ির ম্যানেজার বেদপ্রকাশ বিক্ষোভ সামলাতে আগামী ২ এপ্রিল মজুরি মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও তাতেও সন্তুষ্ট হননি শ্রমিকরা। এর পরে দুই একদিনের ভেতরেই মজুরি মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ উঠে যায়। বেলা ১টার পরে কাজেও যোগ দেন শ্রমিকরা। মালবাজারের মহকুমাশাসক জ্যোতির্ময় তাঁতি জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান। বাগানে ৭৫০ জন কাজ করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy