মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী হতে চান অনেকেই। কিন্তু সেই তুলনায় মেলেনি গেটপাস। ফলে ইচ্ছে থাকলেও জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যেতে পারছেন না আলিপুরদুয়ারের অনেক আইনজীবী। আলিপুরদুয়ার বার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রের খবর, শনিবার সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা থেকে ৩০জন আইনজীবী যোগ দেবেন। তাঁদের নামের তালিকাও ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছেন বার অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা।
জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চ গঠনের দাবি দীর্ঘদিনের। আলিপুরদুয়ারের আইনজীবীরাও দীর্ঘদিন ধরেই সেই আন্দোলনের শরিক ছিলেন। আলিপুরদুয়ার বার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রের খবর, ১৯৯৬ সালে বার অ্যাসোসিয়েশন জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চ তৈরির বিষয়ে প্রস্তাব নেয়। পরবর্তীতে যাঁরাই অ্যাসোসিয়েশনের ক্ষমতায় এসেছেন তাঁরাই এই দাবির পক্ষে সায় দিয়েছেন।
বার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুরু থেকেই আলিপুরদুয়ারের আইনজীবীরাও সার্কিট বেঞ্চের আন্দোলনের শরিক ছিলেন। সম্প্রতি সার্কিট বেঞ্চের দাবিতে জলপাইগুড়িতে হওয়া অবস্থান-বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি আলিপুরদুয়ারেও আলাদাভাবে অবস্থান-বিক্ষোভ করেছিলেন আইনজীবীরা। স্বাভাবিকভাবেই দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সেই সার্কিট বেঞ্চ উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষীও হতে চাইছেন আলিপুরদুয়ারের অনেক আইনজীবীই।
বার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রের খবর, সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণপত্র দিন কয়েক আগেই আলিপুরদুয়ার বার অ্যাসোসিয়েশনে এসে পৌঁছয়। এরপর অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে একটি নোটিস জারি করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যেতে ইচ্ছুক আইনজীবীদের নাম চাওয়া হয়। সেই অনুযায়ী অনেকেই নাম লেখান। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরে বার অ্যাসোসিয়েশনে পৌঁছয় ৩০টি কার্ড৷ তারপরেই ৩০ জনের নামের তালিকা তৈরি করেন অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা।
আলিপুরদুয়ার বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুহৃদ মজুমদার বলেন, ‘‘আমাদের বার অ্যাসোসিয়েশনের আড়াইশো সদস্যর মধ্যে অন্তত ৭০-৮০জন আইনজীবী সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যেতে চেয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৬০ জন আবেদনও করেছেন। সেজন্যই আমরা অন্তত ৫০টা গেট পাস চেয়েছিলাম। কিন্তু ৩০টি পাস পেয়েছি৷’’ সুহৃদবাবু জানান, এই অবস্থায় বার অ্যাসোসিয়শনের সিনিয়র সদস্য ও সার্কিট বেঞ্চ আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন, এমন আইনজীবীদের নিয়ে ৩০ জনের একটা নামের তালিকা তৈরি হয়। তাঁর কথায়, ‘‘শেষ পর্যন্ত যদি দেখা যায়, এই তালিকার কেউ জলপাইগুড়ি যাচ্ছেন না, তবে সেই জায়গায় অন্য ইচ্ছুকদের নেওয়া হবে।’’