Advertisement
০৯ মে ২০২৪

পুরসভা চালাবেন সকলে মিলেই

টানা পনেরো বছর ধরে জলপাইগুড়ির পুরপ্রধান মোহনবাবু। ২০০২ সালে বামেদের থেকে পুরবোর্ড দখল করে কংগ্রেস। চেয়ারম্যান হন মোহনবাবু।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:০৮
Share: Save:

পুরোপুরি সুস্থ হয়ে কবে কাজে যোগ দিতে পারবেন, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও জলপাইগুড়ি পুরসভায় মোহন বসুর ‘বিকল্প’ খুঁজছে না তৃণমূল। আপাতত পুরসভার যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যান পরিষদ এবং পুরসভার প্রশাসনিক কর্তারা যৌথ ভাবে নেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীর মন্তব্য, ‘‘পুরসভার প্রশাসনিক কাজকর্ম নিয়ে চেয়ারম্যান পরিষদ এবং পুরসভার আধিকারিকরা সকলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। মোহনবাবু দ্রুত সুস্থ হয়ে কাজে ফিরবেন বলে আমরা আশাবাদী।’’

টানা পনেরো বছর ধরে জলপাইগুড়ির পুরপ্রধান মোহনবাবু। ২০০২ সালে বামেদের থেকে পুরবোর্ড দখল করে কংগ্রেস। চেয়ারম্যান হন মোহনবাবু। তারপর থেকে টানা সেই পদে রয়েছেন। কংগ্রেসের জেলা সভাপতিও করা হয় মোহনবাবুকে। রাজ্যে পালাবদলের পরে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন মোহনবাবু। ২০১৫ সালে তৃণমূল পুরভোটে একক গরিষ্ঠতা হওয়ার পরে সদ্য দলে আসা মোহনবাবুকে চেয়ারম্যান করা হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। যদিও কলকাতায় নেতাজি ইন্ডোরে সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জলপাইগুড়ির চেয়ারম্যান হিসেবে মোহনবাবুর নাম ঘোষণা করেন। জলপাইগুড়ি শহর ব্লকের সাংগঠনিক কাজকর্ম দেখভালের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

মঙ্গলবার রাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় দ্রুত শিলিগুড়ির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন চিকিৎসকরা। সে সময় শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ির রাস্তায় যানজট থাকায় জেলা পুলিশ মোহনবাবুর অ্যাম্বুল্যান্সের আগে একটি পাইলট ভ্যানের ব্যবস্থা করে। রাস্তায় কনভয় আটকে যাওয়ায় আরও একটি পাইলট ভ্যান পাঠানো হয়। রাজগঞ্জ থানা থেকে পাঠানো হয় পুলিশের ভ্যান। কিন্তু তারপরেও পৌনে এক ঘণ্টার রাস্তা পার হতে লেগে যায় প্রায় আড়াই ঘণ্টা। যানজট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূল নেতারাই।

রাতেই রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব কলকাতা থেকে শিলিগুড়ির নার্সিংহোমের সঙ্গে কথা বলেন। কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি রওনা দেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৌরভবাবুও।

এ দিন বুধবার সকালে হাসপাতালে আসেন শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য, মেয়র পরিষদের সদস্য শঙ্কর ঘোষ এবং দার্জিলিং জেলা সিপিএম সম্পাদক জীবেশ সরকার। মেয়র অশোকবাবু বলেন, ‘‘বিরোধিতা থাকলেও মোহনবাবু রাজনৈতিক সৌজন্য বজায় রাখতেন। উত্তরবঙ্গের অন্যতম এক রাজনীতিক। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’’ মোহনবাবুর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে হাসপাতালেই সৌরভবাবুর সঙ্গে অশোকবাবু-জীবেশবাবুদের আলোচনা হয়। যাকে রাজনৈতিক সৌজন্য বলেই দাবি করেছেন দু’দলের নেতারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Jalpaiguri Municipality Chairman
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE