চলন্ত ট্রেনে এক মহিলা যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। যে ঘটনায় মূল দুই অভিযুক্তের দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে রেল পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। অমৃত ভারত প্রকল্পে দেশজুড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে ৫০৮টি রেল স্টেশনের আধুনিকীকরণের কাজের শিলান্যাসের দিন এমন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসায় ট্রেনে যাতায়াত করা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে ফের একবার বড়সর প্রশ্ন উঠল। বিষয়টি নিয়ে কড়া ভাষায় সরব হয়েছে তৃণমূল।
জিআরপি ও আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে শিফং প্যাসেঞ্জার ট্রেনে ঘটনাটি ঘটেছে। ট্রেনটি লামডিং থেকে আলিপুরদুয়ার জংশনে আসছিল। ওই ট্রেনেরই যাত্রী ছিলেন নিগৃহীতা। সঙ্গে দু’বছরের একটি শিশু সন্তানও ছিল। অসমে এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে ফিরছিলেন তাঁরা। তাঁরা ট্রেনের সাধারণ কামরাতেে ছিলেন। জিআরপি ও আরপিএফ সূত্র খবর, নিগৃহীতা, শিশু সন্তান ও দুই অভিযুক্ত বাদে ফকিড়াগ্রাম স্টেশনে সেই কামরায় থাকা বাকি সব যাত্রী নেমে পড়েন। অভিযোগ, ট্রেনটি শ্রীরামপুর স্টেশন পার করার পরে অভিযুক্ত দু’ জন মহিলাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
রেল পুলিশ ও আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেনটি আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনে পৌঁছলে মহিলার আর্তনাদে পুলিশ ছুটে যান। শিশু-সহ মহিলাকে উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। শিলিগুড়ির এসআরপি এস সিলভা বলেন, “ট্রেনে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” রেল পুলিশের কর্তারা জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা কোকরাঝাড়ের বাসিন্দা। রবিবার তাদের আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঘটনাচক্রে এ দিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে দেশের ৫০৮টি স্টেশনের সঙ্গে আলিপুরদুয়ার বিভাগের ১৫টি স্টেশনেও আধুনিকিকরণের কাজের সূচনা হয়। তৃণমূল নেতা তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, “স্টেশনের সৌন্দর্য নিয়ে না ভেবে ট্রেন যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা আগে প্রধানমন্ত্রীর ভাবা উচিত। কোনও মহিলার একা ট্রেনে যাত্রা করাই যেন এখন বিপদের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ট্রেনে তো যাত্রী সুরক্ষা নেই-ই, মহিলাদেরও নিরাপত্তা নেই। যাত্রী সুরক্ষায় আরপিএফেরও সেঅর্থে ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না।” বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা পাল্টা বলেন, “রেলে যাত্রী সুরক্ষায় আরপিএফ যথেষ্ট সজাগ। তার মধ্যেও কখনও কখনও দুর্ভাগ্যজনক কিছু ঘটনা ঘটে যায়। যা আমরা সমর্থন করি না। এ ক্ষেত্রে অভিযুক্ত দু’জনই গ্রেফতার হয়েছে বলে শুনেছি। আমরা দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)