Advertisement
E-Paper

খুন ও ট্রাক জ্বালানোয় অভিযুক্ত দুই যুবক

মৃতের বোন আলো মণ্ডল বলেন, ‘‘দাদার একটু মানসিক সমস্যা রয়েছে। আমরা এসে শুনি এই কাণ্ড।’’ রাতেই পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পরে কেশবের ভগ্নিপতি হৃদয় মণ্ডল অভিযোগ দায়ের করলে গ্রেফতার করা হয় নারায়ণকে। শিলিগুড়ি পুলিশের এসিপি (পূর্ব) সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও রুজু হয়েছে।’’ 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:৩৭
তৎপর: ট্রাকে আগুন নেভাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

তৎপর: ট্রাকে আগুন নেভাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

শহরের দু’প্রান্তে দুই যুবকের বিরুদ্ধে দু’টি আলাদা ঘটনায় খুন এবং ট্রাক জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের দাবি, খুনে অভিযুক্ত যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। অন্য দিকে, ট্রাক জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগে ধৃত যুবকও মাদকাসক্ত ভবঘুরে। তাঁরও মানসিক অবস্থা ঠিক নেই বলে দাবি পরিবারের।

পুলিশ জানায়, এনজেপি থানার শক্তিগড় এলাকার গ্যারাজকর্মী কেশব মণ্ডল (৫৫) তার ভাই নারায়ণের সঙ্গে থাকতেন। পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের শীতলা পাড়ার বাড়িতে তাঁদের অসুস্থ দিদি এবং বৃদ্ধা মাও থাকেন। নারায়ণ খানিকটা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি পরিবারের। অভিযোগ, বুধবার বিকেলে কেশব বাড়ি থেকে কাজে যাওয়ার কথা বলতেই হঠাৎ় রেগে যান নারায়ণ। কেশব বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মুখে তাঁর মাথায় প্রথমে বাঁশ ও পরে কোদাল দিয়ে কোপান বলে দাবি পুলিশের। তার পরে নিজেই অচৈতন্য দাদাকে চেয়ারে এনে বসান। এ নিয়ে শীতলাপাড়ার চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। নারায়ণ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে ধরে এনে বেঁধে মারধরও করা হয় বলেও অভিযোগ। কেশবকে আহত অবস্থায় প্রথমে শিলিগুড়ি হাসপাতালে এবং পরে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
মৃতের বোন আলো মণ্ডল বলেন, ‘‘দাদার একটু মানসিক সমস্যা রয়েছে। আমরা এসে শুনি এই কাণ্ড।’’ রাতেই পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পরে কেশবের ভগ্নিপতি হৃদয় মণ্ডল অভিযোগ দায়ের করলে গ্রেফতার করা হয় নারায়ণকে। শিলিগুড়ি পুলিশের এসিপি (পূর্ব) সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও রুজু হয়েছে।’’

এ দিকে, বৃহস্পতিবার সকালে আশিঘর ফাঁড়ির বানেশ্বর মোড়ের কাছে ভোলানাথ পাড়ায় পরিত্যক্ত একটি ঘেরা জায়গায় এক যুবকের বিরুদ্ধে ট্রাকে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে। তাকে বেঁধে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। পরে পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ঠাকুরদাস রায় নামে ওই যুবক এলাকারই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সন্ধ্যা রায়ের ছেলে। এ দিন সন্ধ্যাকে অবশ্য ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে, অভিযুক্তের মাসি লক্ষ্ণী রায়ের দাবি, কয়েক বছর আগে দুর্ঘটনায় মাথায় চোট লাগার পর থেকেই ভবঘুরেদের মতো আচরণ শুরু করে ঠাকুরদাস। মাদকেও আসক্ত সে। বুধবার থেকেই বাড়িতে ছিল না ওই যুবক। লক্ষ্মীর কথায়, ‘‘ও মাঝেমধ্যেই বাড়ি থেকে চলে যায়। রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। মাদক ছাড়ানোর চিকিৎসা চলছে।’’ পুলিশ জানায়, সন্দীপ গোয়েল নামে এক ব্যবসায়ী ওই ট্রাকটির মালিক। তা দীর্ঘদিন থেকে সঞ্জয় আগরওয়াল নামে এক ব্যবসায়ীর এলাকায় ছিল। রাত পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়ের হয়নি।

Siliguri Murder
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy