বাগডোগরায় অধীর চৌধুরী। পাশে শঙ্কর মালাকার। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
বিধানসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে জোট, এমনটাই দাবি করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। শনিবার শিলিগুড়ির বাগডোগরায় সভা করেন তিনি। এ দিন আগাগোড়া নারদ নিউজের স্টিং অপারেশন নিয়ে আক্রমণাত্মক ছিলেন তিনি। অধীরবাবু বলেন, ‘‘তৃণমূলের চুরি মানুষ আর পছন্দ করছেন না। ক্রমশই জোটের দিকে পাল্লা ভারি হচ্ছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।’’ জোট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী, বিদায়ী বিধায়ক শঙ্কর মালাকার সহ এলাকার সিপিএম ও কংগ্রেসের নেতারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এ দিন নারদ কাণ্ডে তৃণমূলের তদন্ত কমিটি গড়াকেও কটাক্ষ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘চোরেরা চোরেদের বিচার করবে বলে ঠিক হয়েছে। এর চেয়ে হাস্যকর কিছু হতে পারে না। তৃণমূল নেত্রী প্রথমে নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিও জাল বলে মন্তব্য করলেন। পরে বলেছেন ওটা ঘুষ নয়, অনুদান। আবার পরে কুলটিতে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন। পরে আবার লোকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে দেখে তদন্ত কমিটি তৈরি করলেন।’’ গোটা প্রক্রিয়াকে নাটক বলে বর্ণনা করেন তিনি। সীতারাম ইয়েচুরি, আহমেদ পটেলরা চক্রান্ত করে গোটা ঘটনাটি ঘটিয়েছেন বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে তাঁর দাবি, ‘‘এতই যদি সব জানেন, তাহলে সিবিআই তদন্ত করাচ্ছেন না কেন? তাহলেই আসল সত্য প্রমাণ হয়ে যাবে।’’
সবং কাণ্ডেও তৃণমূল নেত্রীর মিথ্যে প্রকট বলে দাবি করেন তিনি। এর আগে ছাত্র পরিষদ সদস্য কৃষ্ণপ্রসাদ জানাকে পিটিয়ে খুনের ঘটনাতে ঘুরিয়ে কংগ্রেসকেই দায়ী করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন অধীরবাবু।
এ দিন বিকেল পাঁচটায় আসার কথা থাকলেও সন্ধে ৬ টার কিছু পরে সভাস্থলে যান অধীরবাবু। তার আগে পর্যন্ত অল্প সংখ্যক লোক সভায় থাকলেও, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে নিয়ে শঙ্করবাবু ঢুকতেই ভিড় বাড়তে থাকে, ছোট জায়গায় মোবাইলে ছবি তোলার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায় কংগ্রেস ও সিপিএমের কর্মীদের মধ্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy