Advertisement
০২ মে ২০২৪
North Dinajpur

নাকা চেকিং থেকে সরকারি ৬ জন কর্মীকে আটক পুলিশের! বিতর্কের জেরে ছাড়া হল ২১ ঘণ্টা পরে

সরকারি কাজে যুক্ত সরকারি ৬ কর্মীকে কেন ২১ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখা হল, সে বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হয়নি ইসলামপুর পুলিশ জেলার সুপার সচিন মাক্কার।

সরকারি কর্মীকে আটক পুলিশের।

সরকারি কর্মীকে আটক পুলিশের। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
উত্তর দিনাজপুর শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২২ ২৩:৩৭
Share: Save:

উত্তর দিনাজপুর জেলা রেগুলেটেড মার্কেট কমিটির ৬ জন কর্মীকে নাকা চেকিং করার সময় সোমবার গভীর রাতে তুলে নিয়ে গিয়েছিল চোপড়া থানার পুলিশ। এর পর বিষয়টি নিয়ে এলাকার চাঞ্চল্য তৈরি হওয়ায় প্রায় ২১ ঘন্টা পর তড়িঘড়ি তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হল।

এই বিষয়ে পুলিশ কিছু না বললেও মঙ্গলবার রাতে থানা থেকে আটক ওই কর্মীদের ছেড়ে দেওয়ার ছবি ধরা পড়েছে আনন্দবাজার ডিজিটালের ক্যামেরায়। ছাড়া পাওয়া রেগুলেটেট মার্কেট কমিটির মার্কেট অ্যাসিস্টেন্ট আনন্দকুমার ঝা অভিযোগে করেছেন, তাঁদের বিনা অপরাধে আটক করেছিল চোপড়া থানার পুলিশ। সরকারি রাজস্ব আদায়ের সময় তাঁদের আইন ভেঙে আটক করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন আনন্দ।

অভিযোগ, মার্কেট কমিটির ওই কর্মীরা নাকা চেকিং শুরুর আগে সরকারি নিয়ম মেনে চোপড়া থানায় গিয়ে তাঁদের নাকা চেকিংয়ে থাকার জন্য পুলিশ নিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তখন কোনও পুলিশ কর্মীকে দেওয়া হয়নি। সরকারি কাজে যুক্ত সরকারি ৬ কর্মীকে কেন ২১ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখা হল, সে বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হয়নি ইসলামপুর পুলিশ জেলার সুপার সচিন মাক্কার। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরলেও ‘বাইরে আছি পরে কথা বলব’ বলে ফোন কেটে দেন। পুলিশের এই ‘অতি সক্রিয়তায়’ সরকারি রাজস্ব আদায়ে ঘাটতির সৃষ্টি হয়েছে বলেই মার্কেটিং দফতরের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে।

জানা গেছে সোমবার রাত ৭.৩০ টা নাগাদ উত্তর দিনাজপুর জেলা মার্কেট কমিটির ৪ সদস্যর একটি দল ২ জন সিভিল ডিফেন্স কর্মীকে নিয়ে চোপড়া থানার সুফলগছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে নাকা চেকিংয়ের কাজ শুরু করেন। যে সমস্ত গাড়ি সরকারকে রাজস্ব না দিয়ে চলে যাচ্ছিল তাদের কাছ থেকে সরকারি পোর্টালের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করছিল। ওই চেকিং করার সময় আচমকাই চোপড়া থানার পুলিশের একটি দল ওই ৬ কর্মীকে আটক করে চোপড়া থানায় নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।

জেলা রেগুলেটেড মার্কেট কমিটির সেক্রেটারি অসিত বরের অভিযোগ, ওই নাকা চেকিংয়ের বিষয়ে তাঁদের দফতরের চেয়ারম্যান তথা উত্তর দিনাজপুর জেলার জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মীনা সেপ্টেম্বর মাসের ৯ তারিখ জেলার দুই পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারকে লিখিত আকারে জানিয়েছিলেন। যেই চিঠির কপি জেলার সমস্ত থানার আধিকারিকদের এবং বিডিওদেরও পাঠানো হয়। মহ্গলবার তাঁর প্রশ্ন, ‘‘এর পরেও কেন ওই কর্মীদের আটক করা হোলো? কেন ওই কর্মীদের ফোন কেড়ে সুইচ অফ করে রাখা হল?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

North Dinajpur arrest police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE