রাজু বিস্ত। ফাইল চিত্র।
করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত ব্যাক্তিকে দাহ করতে পরিবারের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে কেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। টাকা নেওয়ার কোনও রসিদও দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। সোমবার এই নিয়ে সরব হয়েছেন দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা। শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্যও ফি নেওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানান। এই ফি যাতে না নেওয়া হয় তার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আর্জি জানাবেন বলে জানিয়েছেন অশোক। জেলাশাসক এস পুন্নমবলম জানিয়েছেন, শ্মশানের দায়িত্বে থাকা সংস্থা তাদের কর্মীদের বেতন দিতে ফি নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল। সেই মতো পুরনো হারে ফি নিতে বলা হয়েছে। তবে কেউ টাকা দিতে না পারলে চাপ দিয়ে নেওয়া হবে না। জেলাশাসকের এই বক্তব্য নিয়ে আরও বেশি ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মৃতের পরিবারকে চাপ দিয়ে বেশি টাকা নিতে কিছু লোক সক্রিয় হবে বলে আশঙ্কা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অনেকেরই।
করোনার সংক্রমণ নিয়ে গত শুক্রবার মাটিগাড়ার কোভিড হাসপাতালে মারা গিয়েছিলেন এক যুবক। পরিবারের অভিযোগ, তাঁর দেহ দাহ করার জন্য এবং মুখ দেখতে দেওয়ার জন্য টাকা চাওয়া হয় হাসপাতালে। পরিবারের দাবি, কেন টাকা দিতে হবে জানতে চাইলে জানানো হয় শিলিগুড়ির যে শ্মশানে করোনা আক্রান্তের দেহ সৎকার করা হয় সরকারি নির্দেশে তারা মৃতদেহ পোড়াতে ১১৫০ টাকা ফি ধার্য করছে। ১৫ অগস্ট থেকে তা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সরকারি ভাবে টাকা নেওয়া হলে রসিদ দেওয়া হচ্ছে না কেন সেই প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি। বিষয়টি জেনে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একাংশ উদ্বেগে।
এ দিন অশোক বলেন, ‘‘জেলাশাসককে অনুরোধ করব যাতে এই টাকা না নেওয়া হয়। যে পদ্ধতিতে চলছিল সেভাবেই যাতে করা হয়।’’ জেলাশাসককে তিনি চিঠি দেবেন বলেও জানান। দার্জিলিঙের সাংসদের অভিযোগ, ‘‘এটা অমানবিক। সিএএ বিরোধী প্রচারে, সরকারের বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করছে। ক্লাবগুলোকে লক্ষ লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে অথচ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতদেহ সৎকার করতে কেন সরকার ব্যবস্থা করবে না বুঝতে পারছি না।’’
সাহুডাঙি শ্মশানটি তৈরি করেছিল শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। তারা একটি সংস্থাকে তা চালানোর দায়িত্ব দেয়। এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান বিজয়চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে জেলাপ্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।’’
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy