জলপাইগুড়িতে মারুতির শোরুমের কর্তাদের বেধড়ক মারধরের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করলেন জেলার ব্যবসায়ী ও শিল্প মহল৷ এই মারধরের ঘটনায় সংস্থার তরফে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য সহ সাতজনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর পরই উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলার মতো জলপাইগুড়িতেও শিল্পপতিরা যাতে বিনিয়োগ করেন সে ব্যাপারে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন এখানকার মন্ত্রীরা৷ কিন্তু এ দিন মারুতির শোরুমের কর্তাদের আক্রান্ত হওয়ার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, শিল্পপতিরাই যখন নিরাপদ নন, তখন তারা শিল্প স্থাপন করবেন কী করে ? আর তার জেরেই জেলায় শিল্প সম্ভাবনা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে নানা মহলে৷
নর্থবেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক পুরজিৎ বক্সিগুপ্ত বলেন, ‘‘এ দিন মারুতির শোরুমে যে ঘটনা। ঘটেছে, তা কখনই বাঞ্ছনীয় নয়৷ এমনটা হলে তো জলপাইগুড়ি জেলায় কোন বিনিয়োগই হবে না৷ কেউ এখানে শিল্প স্থাপনে উদ্যোগী হবেন না৷’’
জলপাইগুড়ি ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্সের সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ মিত্র বলেন, ‘‘জলপাইগুড়িতে এত বড় একটা শোরুম হয়েছে৷ অনেকেই সেখানে চাকরি পেয়েছেন৷ ভবিষ্যতে ওই শোরুমে আরও অনেকের কর্মসংস্থান হবে বলে শুনেছি৷ এই অবস্থায় ওই শোরুমে এ দিন যে ঘটনা ঘটলো তা কোন অবস্থাতেই আমরা সমর্থন করি না৷ আমরা চাই, ঘটনায় জড়িতদের কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করুক প্রশাসন৷
জলপাইগুড়ি জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সাধন বসু বলেন, ‘‘ ঘটনাটি শুনেই হতভম্ব হয়ে পড়েছি৷ এটাতো একটা সাংঘাতিক ঘটনা। এমনটা চললে জেলায় ব্যবসা-বাণিজ্য করাই কঠিন হয়ে পড়বে৷’’
ঘটনায় উদ্বিগ্ন চা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনের কর্তারাও৷ আইটিপিএ-র উপদেষ্টা অমৃতাংশু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এ ধরণের ঘটনা একদম সমর্থন করি না৷ কারণ এমন ঘটলে, যারা জেলায় শিল্পের ব্যাপারে এগিয়ে আসছেন, তারা পিছিয়ে যাবেন৷ যার ফলে জেলাটাই পিছিয়ে পড়বে৷ অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা প্রয়োজন৷’’
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অবশ্য বিষয়টিকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে দাবি করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘এর ফলে শিল্প মহলে বা ব্যবসায়ীদের মধ্যে কোনও বিরূপ প্রভাব পড়বে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy