ভাঙচুর: আতিয়ারের সেই গাড়ি। নিজস্ব চিত্র।
রাজনীতির টক্করে ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে উত্তরবঙ্গ। এর আগে ময়নাগুড়িতে তৃণমূলের জ়োনাল সভাপতিকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এ বারে রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটায় তৃণমূলের উপপ্রধান আতিয়ার রহমানের গাড়িতে রাতের অন্ধকারে হামলার অভিযোগ উঠল। এ ক্ষেত্রেও বিজেপির বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছে তৃণমূল। উল্টো দিকে, বিজেপি সব ক্ষেত্রেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বেলাকোবার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিজের গাড়িতেই ফিরছিলেন আতিয়ার রহমান। সঙ্গে ছিল তৃণমূলের কয়েক জন কর্মী। বাড়ির কাছাকাছি এলাতকায় পৌঁছে তিনি গাড়ি থামিয়ে নেমেছিলেন। তখন একদল লোক লাঠি-বল্লম নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। উপপ্রধানের দাবি, তিনি হামলার সময়ে পড়ে গিয়েছিলেন। দুষ্কৃতীরা তাঁর গাড়িতে ভাঙচুর চালাতে শুরু করে এবং সঙ্গীদের মারধর করে বলে তাঁর দাবি। চিৎকার শুনে আশেপাশের বাসিন্দারা জড়ো হলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায় বলেও জানিয়েছেন তিনি। দুই সঙ্গী হাসপাতালে ভর্তি। আতিয়ার অবশ্য বলেন, “কারা হামলা চালাতে এসেছিল চিনতে পারিনি।’’ যদিও রাজগঞ্জের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় বলেন, “বিজেপি এখন রাজ্য জুড়ে ভয় দেখাতে আমাদের দলের কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে শনিবার সভা করব।’’
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা বিজেপির সমর্থক বলে এলাকায় পরিচিত, দাবি তৃণমূলের। ধৃতদের সঙ্গে উপপ্রধানের আগে থেকে পরিচয় ছিল বলে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে। ঘটনার সঙ্গে জমি সংক্রান্ত কোনও বিবাদের জের রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জলপাইগুড়ি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ মন্ডল জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে।
বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য মনিরুল ইসলাম বলেন, “পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই তৃণমূলের ঝুলি থেকে অনেক ক’টি বেড়াল বের হবে। এটি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এর বেশি এখন আর কিছু বলতে চাই না।“
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy