Advertisement
E-Paper

মালদহে কি সমঝোতার বার্তা, প্রশ্ন

শুক্রবার বিকেলে কোতোয়ালি হাভেলিতে সাংবাদিক বৈঠক করে ওই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন মৌসম নূর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৮ ০২:১৩
ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

জেলা পরিষদের মোট আসন ৩৮টি। কিন্তু প্রার্থী দেওয়া হল ২৬টিতে। কংগ্রেসের এই পদক্ষেপ বামেদের প্রতি সমঝোতার বার্তা দেওয়াই মনে করছেন জেলার রাজনৈতির নেতারা। যদিও বামেদের সঙ্গে সমঝোতার কথা সরাসরি স্বীকার করেননি মালদহ জেলা কংগ্রেস সভানেত্রী মৌসম নুর। তিনি জানান, পঞ্চায়েত স্তরে তৃণমূল ও বিজেপিকে রুখতেই তাঁদের এই ভাবনা।

শুক্রবার বিকেলে কোতোয়ালি হাভেলিতে সাংবাদিক বৈঠক করে ওই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন মৌসম নূর। আজ শনিবারের মধ্যে আরও কয়েকটি আসনে তারা প্রার্থী দেবেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন। এদিকে সিপিএমের তরফে এ দিনও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। তাঁদেরও বক্তব্য, তৃণমূল-বিজেপিকে ঠেকাতে যা যা প্রয়োজন তাই করবেন তাঁরা। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার কথা স্বীকার করতে নারাজ সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র।

২০১৩-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদহ জেলা পরিষদে আলাদা আলাদা লড়াই করেছিল কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল ও বিজেপি। সেবার ৩৮টির মধ্যে ১৬টি করে আসন পেয়েছিল কংগ্রেস ও সিপিএম। বাকি ৬টি আসন পায় তৃণমূল। দুই বাম সদস্যের সহযোগিতা নিয়ে বোর্ড গঠন করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু তিন বছর পরেই কংগ্রেসের বোর্ড সভাধিপতি ও কংগ্রেস-সিপিএমের ১৭ জন সদস্য শাসকদলে যোগ দিলে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। গত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস-সিপিএমের আসন সমঝোতা হয়েছিল। তাতে মালদহ থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল তৃণমূলকে। সেই ভাবনা থেকেই এ বারও পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে ঠেকাতে একই রাস্তা নিতে চাইছে দুই দল। এমনটাই মত জেলা রাজনৈতিক নেতারা।

তবে এতকিছুর পরেও কয়েকটি আসনে কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হবে। কংগ্রেস সূত্রে খবর, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ও ২ ব্লকের ৫টি আসন, ইংরেজবাজার ব্লকের ৩টি আসন, কালিয়াচক ৩ ব্লকের একটি আসনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হতে পারে। এ দিন কংগ্রেস বামনগোলা ব্লকের ২টি আসন, হবিবপুর ও গাজোলে তিনটির মধ্যে দু’টি, রতুয়া ১ ও মানিকচকের তিনটির মধ্যে একটি আসন ফাঁকা রেখেছে। এই কয়েকটি এলাকায় বামেদের সংগঠন তুলনামূলক ভাবে শক্তিশালী বলেই জানাচ্ছে জেলা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত অনেকেই।

জিতে আসা অনেককেই প্রার্থী তালিকায় রেখেছে কংগ্রেস। হবিবপুরের ৪ নম্বর আসনে প্রার্থী হয়েছেন জেলা কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত শর্মা, জেলা পরিষদের অধ্যক্ষা রেহেনা পারভীনও রয়ছেন প্রাথী তালিকায়। এ দিন মৌসম নুর বলেন, ‘‘মানুষের রায়ে জেলা পরিষদ কংগ্রেস দখল করেছিল। কিন্তু তৃণমূল তা জবরদখল করেছে। এ বারের ভোটে যারা দল ছেড়েছেন তাঁদের জবাব দেওয়া হবে।’’

Mausam Benazir Noor Congress Malda West Bengal Panchayat Election 2018
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy