Advertisement
১৬ মে ২০২৪

প্রচারসভায় হামলা, দাবি কংগ্রেসের

জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায় অভিযোগ করেন, ‘‘কুমারগঞ্জের তৃণমূল জেলা পরিষদের প্রার্থী মফিজুদ্দিন মিঁয়ার নেতৃত্বে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়।’’

প্রতিবাদ: কংগ্রেস কর্মীদের পথ অবরোধ। নিজস্ব চিত্র

প্রতিবাদ: কংগ্রেস কর্মীদের পথ অবরোধ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বালুরঘাট শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৮ ২০:১৯
Share: Save:

প্রচার সভায় দুষ্কৃতীরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ করল কংগ্রেস। রবিবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ থানার দিওড় বাজার এলাকার ঘটনা। ঘটনার প্রতিবাদে ও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সোমবার জেলা জুড়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। গুরুতর জখম হয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা চন্দ্রকান্ত সরকার। ব্লক কংগ্রেস সভাপতি পরিমল চক্রবর্তী এবং দু’জন পঞ্চায়েত প্রার্থী সহ মোট ৮ জন কংগ্রেস কর্মীও জখম হন। সাত জনকে চিকিৎসা করাতে হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রবীণ চন্দ্রকান্তবাবুকে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কংগ্রেস নেতৃত্বকে ঘটনাটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন জেলার পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।

জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায় অভিযোগ করেন, ‘‘কুমারগঞ্জের তৃণমূল জেলা পরিষদের প্রার্থী মফিজুদ্দিন মিঁয়ার নেতৃত্বে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়।’’ সোমবার তিনি কুমারগঞ্জ থানায় মফিজুদ্দিন সহ শাসক দলের মোট ২৮ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন। অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃণমূলের মফিজুদ্দিন। তাঁর দাবি, ‘‘জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে কংগ্রেসের জেলা সভাপতির বক্তৃতার বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষ প্রতিবাদ জানান। তার সঙ্গে দলের কেউ জড়িত নন।’’ তবে বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তাদের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে নালিশ জানান হবে।

নীলাঞ্জনবাবু পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে জানান, রবিবার রাতে কুমারগঞ্জের দিওড় বাজারে দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে পথসভা ধীরে ধীরে জনসভার চেহারা নেয়।

তাঁর অভিযোগ, ‘‘রাত ৮টা নাগাদ তাঁর বক্তৃতা চালাকালীন তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের ওই প্রার্থীর নেতৃত্বে ২০০ থেকে ৩০০ জনের ওই দুষ্কৃতী দল লাঠি, লোহার রড ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়ে বক্তৃতা থামাতে বলে। আমাকে প্রাণে মারার হুমকি দিতে থাকে। এরপর হামলা চালিয়ে প্রচার সভা ভণ্ডুল করে কংগ্রেস নেতাকর্মীদের মারধর শুরু করে। আক্রমণ ধেয়ে আসছে দেখে বাধ্য হয়ে ভাষণ থামিয়ে পালিয়ে প্রাণে বাঁচি।’’

দু’জন কংগ্রেসকর্মীর সাহায্যে তিনি সভামঞ্চের পিছন দিয়ে পালিয়ে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন বলে নীলাঞ্জনবাবুর দাবি। এর পর বাড়ির পিছনে পুকুরের পাড় দিয়ে ছুটতে থাকেন। জমির আল রাস্তা ধরে অন্তত প্রায় ৫ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে সতীপুকুর এলাকায় পৌছে মোটর বাইকে করে অনেক রাতে নীলাঞ্জন বালুরঘাটে পৌঁছন।

তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘‘কংগ্রেসের ওই প্রচার সভা থেকে আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে ভাষণ দিলে এলাকার বাসিন্দারাই খেপে ওঠেন। তারাই প্রতিবাদে সরব হলে সভা ছেড়ে কংগ্রস নেতারা পালিয়ে যান।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Congress West Bengal Panchayat Election 2018
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE