Advertisement
E-Paper

হাতে রইল জনাকুড়ি সিভিক

আজ ভোটের দিন এমনই চিন্তা কপালে ভাঁজ ফেলেছে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের। শুক্রবার সকাল থেকেই শহর লাগোয়া বিভিন্ন গ্রামে টহলদারি শুরু হয়েছে।

অনির্বাণ রায়

শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৮ ০২:২৪
প্রস্তুতি: ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগে খোশমেজাজে পুলিশকর্মীরা। জলপাইগুড়িতে। ছবি: সন্দীপ পাল

প্রস্তুতি: ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগে খোশমেজাজে পুলিশকর্মীরা। জলপাইগুড়িতে। ছবি: সন্দীপ পাল

হাতে রইল জনা কুড়ি সিভিক। এতে গোটা শহরটার যান নিয়ন্ত্রণ যথাযথ হবে তো? ভোটের কাজে চলে যাওয়া পুলিশ কর্মীদের বাদ দিলে আর থাকছে দু’টি মোবাইল বাহিনী। শহরে তেমন কিছু ঘটলে সামলানো যাবে তো?

আজ ভোটের দিন এমনই চিন্তা কপালে ভাঁজ ফেলেছে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের। শুক্রবার সকাল থেকেই শহর লাগোয়া বিভিন্ন গ্রামে টহলদারি শুরু হয়েছে। কোথাও টাকা বিলানো হচ্ছে বলে অভিযোগ আসছে, কখনও আবার আসছে হামলার অভিযোগ। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানা থেকে বের হচ্ছে একের পর এক টহলদারি ভ্যান। রবিবার দুপুরেও দেখা গেল সরগরম কোতোয়ালি থানা। জংলা, কালো নানা রকমের উর্দি পড়া বিভিন্ন বাহিনী। এক অফিসারের কথায়, “সন্ধ্যের পরেই সব বাহিনী নানা গ্রামে চলে যাবে। তখন শহরে যদি কিছু হয়, তাহলে কীভাবে সামলানো যাবে, সেটাই চিন্তা।”

রবিবার সকালে জলপাইগুড়ি পোস্ট অফিস মোড়ে দেখা গেল একজন সিভিক এবং একজন সবুজ পুলিশের স্বেচ্ছাসেবক ট্র্যাফিক সামলাচ্ছেন। প্রতিদিন সত্তর জন সিভিকের দল ট্র্যাফিক সামলায়। তাদের থেকে ৫০ জনেরও বেশি ভোটের কাজে চলে গিয়েছে। কনস্টেবলের সংখ্যা শতাধিক। শহরের দায়িত্ব সামলানোর জন্য সোমবার তাঁদের কাউকে পাওয়া যাবে না বলেই পুলিশ সূত্রের খবর। জেলার এক পুলিশ কর্তার কথায়, “গ্রামে কত পুলিশ আর শহর কত এমন হিসেব করলে সোমবারে অন্তত শহর পিছিয়েই থাকবে। তবে তাতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হবে না বলেই আশা করা হচ্ছে।”

পঞ্চায়েত ভোটের জন্য গ্রামে বেশি বাহিনী পাঠাতে হবে তা আগে থেকেই জানা ছিল। সেভাবে পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে দাবি জেলা পুলিশ কর্তাদের। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য যে বাড়তি বাহিনী আনা হয়েছে, তা শহর লাগোয়া এলাকাতেই থাকবে বলে দাবি তাঁদের। যাতে প্রয়োজন হলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেন।

জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার অন্তগর্ত ৯টা গ্রাম পঞ্চয়ায়েত এলাকায় ভোট হচ্ছে। ব্যালট এবং ভোট সরঞ্জাম বিলির কেন্দ্র হয়েছে জলপাইগুড়ি পলিটেকনিক কলেজে। সদর ব্লকের স্ট্রংরুমও হয়েছে এই কলেজেই। সেখানেও নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। গ্রামের ভোট মিটলে বিকেলের পরে স্ট্রংরুমে বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে অন্য জায়গায় নিরাপত্তায় ভাটা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে খোদ পুলিশ মহলেও। প্রতিদিন সন্ধেয় শহরে সাদা পোশাকে নজরদারি শুরু হয়। রবিবার তাঁদের অনেককেই দেখা গেল না রাস্তায়। আজ সোমবারেও শহরে নজরদারি কীভাবে সামলানো যাবে তাই নিয়েই চিন্তা থাকছেই।

West Bengal Panchayat Elections 2018 Civic Police Jalpaiguri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy