Advertisement
E-Paper

শক্তি-সভায় বিনয়, বিমল

গুরুংপন্থীরা এ দিন জানিয়েছেন, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০ ডিসেম্বর নাগাদ সাড়ে তিন বছর পর গুরুং পাহাড়ে যেতে পারেন। কার্শিয়াং এবং মিরিকেও সভা হবে।

কৌশিক চৌধুরী, পার্থ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:২১
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

এ বার সরাসরি শক্তি প্রদর্শনে নেমে পড়লেন বিমল গুরুং ও বিনয় তামাং। আজ, রবিবার সাড়ে তিন বছর পর ডুয়ার্সের বীরপাড়ায় বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা জনসভা করছেন। সেখানে একই দিনে তরাইয়ের সুকনায় পাল্টা সভা বিনয় তামাং, অনীত থাপাদের। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়, তরাই এবং ডুয়ার্স থেকে দুই সভা যাওয়ায়র ক্ষেত্রে যাতে মোর্চার দুই শিবিরের কর্মীদের মধ্য গোলমাল না হয়, সে দিকে নজর রেখেছে পুলিশ-প্রশাসন।

রবিবার বীরপাড়ার প্রগতি ময়দানে গুরুংয়ের এই দফায় ডুয়ার্সে প্রথম জনসভা। এত দিন পরে ডুয়ার্সে দাঁড়িয়ে গুরুং কী বলেন, সে দিকেই তাকিয়ে মোর্চার নেতা-কর্মীরা। গুরুংপন্থী মোর্চার মধ্য ডুয়ার্স শাখার নেতা সুমন তামাং বলেন, ‘‘গোর্খাল্যান্ড আমাদের আবেগ। তাই এই সভায় গুরুং কী বলেন, সে দিকে তাকিয়ে রয়েছেন আমাদের কর্মী-সমর্থকরা।’’

২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে গুরুংয়ের সমর্থন সঙ্গে নিয়ে মাদারিহাট আসনটি জিতেছিল বিজেপি। এ বার তাঁর প্রভাব আরও বেশি আসনে পড়তে পারে বলে মোর্চার গুরুংপন্থী অংশ আশা করছে। এর মধ্যে এ দিনই সুকনায় ফুটবল মাঠে বিনয় তামাং, অনীত থাপাদের সভা। শনিবারই সুকনায় গিয়ে মাঠের সভায় প্রস্তুতি দেখেন অনীত। তিনি বলেন, ‘‘কারও ব্যক্তিগত মোর্চা নয়, মানুষের মোর্চার বিরাট সভা হবে। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে আমরা সক্রিয়ভাবে অংশ নেব। তা নিয়েও সভা থেকে সভাপতি বার্তা দেবেন।’’

গুরুংপন্থীরা এ দিন জানিয়েছেন, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০ ডিসেম্বর নাগাদ সাড়ে তিন বছর পর গুরুং পাহাড়ে যেতে পারেন। কার্শিয়াং এবং মিরিকেও সভা হবে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, গুরুং পাহাড়ে ওঠার পর পরিস্থিতি বদলাতে পারে। তখন শান্তিশৃঙ্খলা যাতে বজায় থাকে তা রাজ্য সরকারকে দেখতে হবে।

একটা সময় পাহাড়ের পাশাপাশি তরাই ও ডুয়ার্সেও মোর্চার ব্যাপক প্রভাব ছিল। কিন্তু গুরুং পাহাড় ছাড়া হতেই ডুয়ার্সে গুরুংপন্থী মোর্চা শিবিরের নেতা-কর্মীরা নিষ্ক্রিয় হতে শুরু করেন। তবে গুরুং ফেরার পরে যে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে, সেটা গত রবিবারের সভা থেকেই বোঝা যায়। সে দিন গুরুংয়ের জনসভায় যোগ দিতে ডুয়ার্সের মোর্চা সমর্থকদের দলে দলে এসেছিলেন। বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার ব্যাপারে মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন।”

Bimal Gurung Birpara Binay Tamang
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy