কোচবিহারে সাংবাদিক বৈঠকে বিমান বসু। — নিজস্ব চিত্র
চাপানউতোর সরিয়ে রেখে সাবেক ছিটমহল এলাকার উন্নয়নে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে যৌথ ভাবে কাজ করার জন্য সওয়াল করলেন রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। রবিবার সাংগঠনিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে বিমানবাবু কোচবিহারে আসেন। সিপিএম জেলা দফতরে জেলা বামফ্রন্টের একটি বৈঠকে যোগ দেন। পরে দলের একটি কর্মিসভায় বক্তব্য রাখেন। ওই কর্মসূচির ফাঁকে কোচবিহার জেলা সিপিএম দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সেখানে বিমানবাবু বলেন, “ছিটমহলের বাসিন্দাদের দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা কেন্দ্রের উচিত নয়। রাজ্য সরকারেও তাদের নিয়ে খেলা করা উচিত নয়। ৬৮ বছর পর চুক্তি লাগু হয়েছে। তার শর্ত পূরণ করে ছিটমহলবাসীদের শুধু নাগরিকত্বের অধিকার দিলে জীবন জীবিকা, শিক্ষা সব সুযোগ পূরণ হয়ে যায় না। সেটা কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যে সরকার উভয়ের যৌথ ভাবে কার্যকর করার লক্ষ্যে পথ চলা উচিত। কেউ কারও ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে চললে ছিটমহলবাসী বঞ্চিত হবেন।’’ বিমানবাবু জানান, সমগ্র বিষয় নিয়ে রাজ্য বামফ্রন্টে আলোচনা করা হবে।
শনিবার কোচবিহারের সাবেক ছিটমহল এলাকা ও ক্যাম্প পরিদর্শনে এসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রকাশ্যেই সেখানকার অবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রাজ্যে সরকারের সমালোচনা করে কেন্দ্রের বরাদ্দ সঠিকভাবে খরচ হচ্ছে কি না সেই প্রশ্ন তুলে সরব হন। তৃণমূলের তরফেও পাল্টা বিবৃতি দেওয়া হয়। যদিও বিমানবাবু সাবেক ছিটমহলের জন্য বরাদ্দ অর্থ নয়ছয় হচ্ছে কি না সে বিতর্কে যাননি।
তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বিজেপির অভিযোগ শনিবার আমল দিতে চাননি। এ দিন বিমানবাবুর বক্তব্য নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, “সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। সঠিক ভাবে সে সব করা হবে।” বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিল দে বলেন, “কেন্দ্র নিজের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করছে, যারা খোঁজ খবর রাখেন না, তাঁরা ভিত্তিহীন কথা বলছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy