যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলার প্রাক্তন সভাপতি বিষ্ণুব্রত বর্মণ।—ছবি সংগৃহীত।
মারা গেলেন যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলার প্রাক্তন সভাপতি বিষ্ণুব্রত বর্মণ (৪৯)। বুধবার কলকাতার একটি নার্সিংহোমে তাঁর মৃত্যু হয়। দলীয় সূত্রের খবর, সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিষ্ণুকে কোচবিহার মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। তাঁর লালারস পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়ে। পরে অবশ্য নেগেটিভ রিপোর্ট আসে বলে খবর। হাসপাতাল সূত্রেই বলা হয়, তিনি ফুসফুসে রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে অবস্থার অবনতি হওয়ায় এরপর তাঁকে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার সড়কপথেই অ্যাম্বুল্যান্সে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই এ দিন তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
বিষ্ণুব্রত রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও কোচবিহারে খেলার মাঠের মানুষ হিসেবেই তিনি বেশি পরিচিত ছিলেন। ভাল ক্রিকেট খেলতেন। ক্রীড়া সংগঠক হিসাবেও তাঁর সুনাম ছিল। অসুস্থ হওয়ার পরে দেশের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর খোঁজ নিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর খবরে গোটা জেলা শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছে। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী তো বটেই, বিজেপি ও বামেরাও শোকপ্রকাশ করেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, অনগ্রসর কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ থেকে গৌতম দেব তাঁর মৃত্যুতে শোক জানান। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্তপ্রতিম রায় বলেন, “দলের, জেলার রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি হল। খেলার মাঠ তাঁকে মিস করবে।” বিজেপির কোচবিহার জেলার সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “জেলার অন্যতম ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন বিষ্ণুব্রত। তরুণ রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।”
বিষ্ণুব্রত বর্মণের মৃত্যুতে শোকের ছায়া আলিপুরদুয়ার জেলার ক্রীড়া মহলেও। আলিপুরদুয়ার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব সঞ্চয় ঘোষ বলেন, ‘‘দুর্দান্ত ক্রিকেটার হিসেবে বিষ্ণুব্রতর আলিপুরদুয়ারে তো পরিচয় রয়েইছে। একজন দক্ষ ক্রীড়া প্রশাসক হিসেবেও ওঁর সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল। ওঁর মতো দক্ষ ও স্বচ্ছ ভাবমুর্তির ক্রীড়া প্রশাসকের মৃত্যু ক্রীড়া জগতের ক্ষতি করে দিল।’’ এক সময়ে বিষ্ণুব্রতর সঙ্গে একই দলে বা বিপক্ষে খেলেছেন আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন ক্রিকেটার সোমশঙ্কর দত্ত। তাঁর কথায়, ‘‘বিষ্ণুদা ক্ষুরধার মস্তিষ্কের অলরাউন্ডার ছিলেন। এই শোক ভোলার নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy