উৎসবে: জন্মাষ্টমীতে শিশুদের দুধের প্যাকেট বিলি মালদহের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সদস্যদের। নিজস্ব চিত্র
রামের পরে শ্রীকৃষ্ণ। আড়ম্বর না থাকলেও করোনা-আবহের মধ্যেই জন্মাষ্টমী পালন করল গেরুয়া শিবির। তৃণমূল শিবির ওই উৎসবে সামিল হল সোশ্যাল মাধ্যমের ‘দেওয়ালে’।
বুধবার এ ভাবে দুই শিবিরের জন্মাষ্টমী ঘিরে তৎপরতায় চর্চা ছড়িয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।
অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভূমিপুজোর দিন মালদহে রামপুজো করেছিল গেরুয়া শিবির। বিজেপি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ পৃথক পৃথক ভাবে রামপুজোর আয়োজন করে। এ বার জন্মাষ্টমী পালনেও তৎপর গেরুয়া শিবির।
ইংরেজবাজার শহরের পুড়াটুলি এলাকায় বিজেপির সদর দফতরের পাশেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জেলা কার্যালয়। এ দিন দুই কার্যালয়ের সামনেই টাঙানো ছিল কৃষ্ণের বড় বড় ‘কাটআউট’। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যালয়ে আয়োজন করা হয় পুজোর। বিতরণ করা হয় প্রসাদ। সংগঠন সূত্রে খবর, দু’দিন ধরে চলবে নানা অনুষ্ঠান।
এ দিন পুরাতন মালদহের ইশ্বরপুর, আটমাইল, হবিবপুর, গাজল, মানিকচক, কালিয়াচকের গোলাপগঞ্জ, বৈষ্ণবনগরেও সংগঠনের তরফে আয়োজন করা হয় জন্মাষ্টমী পুজোর। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মালদহের প্রচারক প্রবোদকুমার মণ্ডল বলেন, করোনা আবহে এ বার জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে কাটছাট করা হয়েছে।
জন্মাষ্টমী পালনে পিছিয়ে ছিল না মালদহের তৃণমূল শিবিরও। তবে পুজো-অর্চনায় নয়, সোশ্যাল মাধ্যমে জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানান তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্যেই বিজেপি ও তৃণমূল ধর্মীয় মেরুকরণে জোর দিয়েছে বলে কটাক্ষ করেছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র। তিনি বলেন, “ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে ভাগাভাগি করে রাজনীতি করছে তৃণমূল ও বিজেপি। যার জন্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিয়ে দু’দলের মধ্যে চলছে দড়ি টানাটানি।”
জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “আমরা সমস্ত ধর্মকেই সম্মান করি। রাম, কৃষ্ণের পুজো আমরা বাড়িতে বরাবরই করে এসেছি। এখানে রাজনীতির কোনও বিষয় নেই।”
তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার বলেন, “মেরুকরণের রাজনীতি তৃণমূল করে না। সমস্ত উৎসব, অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছাবার্তাই এখন সোশ্যাল মাধ্যমে লেখা হয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy