E-Paper

সৈকতের জামিনের বিরোধিতা নয় কেন, ক্ষোভপ্রকাশ শিখার

তৃণমূল সভাপতি সৈকতের জামিনের বিরোধিতা করতে এজলাসে উপস্থিত থাকবেন জানিয়েও বিজেপির এক আইনজীবী-নেতা বুধবার আদালতে আসেননি বলে এ দিন অভিযোগ তোলেন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়।

অনির্বাণ রায়

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:৩০
বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি পুরসভায় উপ-পুরপ্রধান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। 

বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি পুরসভায় উপ-পুরপ্রধান সৈকত চট্টোপাধ্যায়।  ছবি: সন্দীপ পাল।

তৃণমূল নেতা সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের জামিন নিয়ে বিজেপিতে ‘দ্বন্দ্ব’ প্রকাশ্যে এল। অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার দীর্ঘ চার মাস পরে পুরসভায় গিয়েই বিতর্কে জড়ালেন উপপুরপ্রধান সৈকত।

যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকতের জামিনের বিরোধিতা করতে এজলাসে উপস্থিত থাকবেন জানিয়েও বিজেপির এক আইনজীবী-নেতা বুধবার আদালতে আসেননি বলে এ দিন অভিযোগ তোলেন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। দম্পতিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় অভিযোগকারী শিখার কথায়, ‘‘বুধবার ছয়-সাত বার আমার আইনজীবী সৌজিত সিংহের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রতিবারই সৌজিত বলেছেন, আদালতে থেকে সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের বিরোধিতা করবেন। কিন্তু আদালতে সৌজিত বা কেউ জামিনের বিরোধিতা করেননি। কেন এমন হল, রহস্য!" বুধবার শিখা চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে কেউ সৈকতের জামিনের বিরোধিতা না করায়, বিজেপির অন্দরে অভিযোগ ওঠে ওই তৃণমূল নেতার সঙ্গে দলের কোনও অংশের 'যোগাযোগ' হয়ে থাকতে পারে।

বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য তথা গত বিধানসভায় জলপাইগুড়িতে দলের প্রার্থী সৌজিত সিংহ অবশ্য বলেন, "আমি শিখা চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী নই। আমার সঙ্গে আরও দশ-বারো জন আইনজীবী ছিলেন। বুধবার আমার মা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। শিখা চট্টোপাধ্যায়কে নিজে আদালতে থাকব বলিনি। বলেছিলাম, কেউ না কেউ জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করবেন। আমি যে আদালতে থাকতে পারব না তা দলের জেলা সভাপতিকে জানিয়েছিলাম।" ‘দ্বন্দ্ব তথা বিতর্ক’ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, "এ বিষয়ে বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করুন।"

বিতর্ক হয়েছে পুরসভায় বৈঠক করার পরে সৈকতের মন্তব্য নিয়েও। সৈকত বলেন, "যে কয়েক দিন ছিলাম না, তার ভাতা ফিরিয়ে দিলাম। পুর প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনলাম। পুরপ্রতিনিধিদের মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে হবে।" এই মন্তব্যের পরে তৃণমূলেরই একাংশ প্রশ্ন তোলেন, তবে কি পুরসভায় পুরপ্রধান পুরপ্রতিনিধিদের মর্যাদা দিচ্ছেন না! পুরপ্রধান পাপিয়া পাল অবশ্য বলেন, "এই মর্যাদার কথাটির অর্থ
বুঝলাম না।"

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Jalpaiguri BJP

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy