E-Paper

কী কাজ করছেন সাংসদ, জানতে সমীক্ষা বিজেপির

সূত্রের দাবি, জেলা বিজেপি নেতাদের সেই সব প্রশ্নের উত্তর লিখে জমা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এখন চলছে সাধারণ মানুষের মতামত নিয়ে সমীক্ষা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:১৮
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

বিয়েবাড়ির নিমন্ত্রণ পেলে সাংসদ যান কি না, তা জানতে সমীক্ষা শুরু হয়েছে জলপাইগুড়িতে। শুধু বিয়েবাড়িই নয়, শ্রাদ্ধবাসর, পুজো, নাম-সংকীর্তণের মতো ‘সামাজিক’ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ মিললে জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায় তা রক্ষা করেন কি না, জানতে জেলা বিজেপির বাছাই করা শীর্ষ নেতৃত্বকে প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়েছে।

সূত্রের দাবি, প্রশ্নপত্র এসেছে দিল্লি থেকে। কেউ যদি সাংসদের বাড়ি গিয়ে প্রয়োজনে দেখা করতে চান, তা হলে কী প্রথমে তাঁকে নিজের পরিচয় দিয়ে চিরকুট পাঠাতে হয়, না ‘আগে থেকে জানিয়ে আসেননি কেন’ বলে বিদায় করে দেওয়া হয় রয়েছে সে প্রশ্নও। দেখা হলে কত ক্ষণ পরে দেখা হয়, সে সব প্রশ্নও রয়েছ সমীক্ষায়। জানতে চাওয়া হয়েছে, সাংসদ রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে গেলে সঙ্গে কারা থাকেন? সঙ্গীরা রাজনৈতিক লোক, না পারিবারিক বা ব্যক্তিগত পরিচিত?

সূত্রের দাবি, জেলা বিজেপি নেতাদের সেই সব প্রশ্নের উত্তর লিখে জমা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এখন চলছে সাধারণ মানুষের মতামত নিয়ে সমীক্ষা। সমীক্ষা করছে একটি পেশাদারি সংস্থা। সূত্রের দাবি, সমীক্ষা শেষ হয়ে যাবে চলতি সপ্তাহে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি সাংসদ এবং জেলা বিজেপির সভাপতিকে দিল্লি তলব করা হয়েছে। জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “এ সব তথ্য আমার জানা নেই। দিল্লিতে বৈঠক রয়েছে। সেখানে যাচ্ছি।”

বিজেপি সূত্রের দাবি, যেখানেই দলীয় সাংসদ রয়েছেন সেখানেই এমন সমীক্ষা চলছে। কম-বেশি কুড়িটি প্রশ্ন রয়েছে সমীক্ষায়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিজের এলাকায় সাংসদকে দেখা যায় কি না, গত পাঁচ বছরে সাংসদকে কত বার দেখা গিয়েছে, তিনি সংসদীয় এলাকার সব গ্রামে অন্তত এক বার করে গিয়েছেন কিনা, সাংগঠনিক সব কর্মসূচিতে থাকেন কি না, সাংসদ তহবিলে উন্নয়নের বিষয়ে কেউ কিছু জানে কি না, আদিবাসী, রাজবংশী এবং মতুয়া সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের সাংসদ সম্পর্কে মতামতও জানতে চাওয়া হয়েছে সমীক্ষায়।

এ ছাড়া, ‘বিচার পরিবার’ অর্থাৎ, বিজেপি নেতারা রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘকে যে ভাবে ব্যাখ্যা করে তাঁদের সঙ্গে সাংসদের সম্পর্ক কেমন তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। এ দিন জয়ন্ত বলেন, “সমীক্ষায় কী উঠে আসবে তা বলতে পারব না। আমি না বললেও মানুষ মেডিক্যাল কলেজ, দার্জিলিং মেল, দু’টো বন্দেভারত এক্সপ্রেস, আমার এলাকায় পাঁচটি অমৃত ভারত স্টেশন, একাধিক নতুন উড়ালপুল এবং আন্ডারপাস হতে দেখেছেন। আরও প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে। এ সবের মূল্যায়ন সাধারণ মানুষ করবেন।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Jalpaiguri BJP

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy