শিয়রে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে উত্তরবঙ্গ থেকেই রাজ্য সফর শুরু করতে চলেছেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বুথ স্তরের কর্মীদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকও প্রায় চূড়ান্ত বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
মঙ্গলবার সকাল থেকে উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলার সভাপতি এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতা-নেত্রীদের নিয়ে শিলিগুড়িতে বৈঠক করেন দলীয় নেতৃত্ব। উপস্থিত ছিলেন দলের সর্বভারতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রকাশ, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুকুল রায়, সুব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়েরা। এ দিন সভাপতির সফর, বৈঠক নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে কয়েকটি সভাস্থল, অনুষ্ঠান কেন্দ্র ঠিক হয়েছে। আগামী ২ এপ্রিল কলকাতায় রাজ্য বিজেপির বৈঠক হবে। তারপরেই তা দিল্লিতে জানিয়ে দেওয়া হবে। অমিত শাহে’র ৮ এবং ৯ এপ্রিল রাজ্য সফরে আসার কথা রয়েছে।
দলীয় সূত্রের খবর, ৮ এপ্রিল দিল্লি থেকে শিলিগুড়ি পৌঁছে বুথ স্তরের কর্মীদের নিয়ে সভা করার কথা অমিত শাহের। তারজন্য বাগডোগরার উত্তরা, শহরের রেলের সার্কাস ময়দান প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে। এ ছাড়াও কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম এবং ইন্ডোর স্টেডিয়ামের নামও তালিকায় রয়েছে। চলতি সপ্তাহেই ওই এলাকাগুলোতে সভা করার জন্য পুলিশ কমিশনারের কাছে আবেদন করা হবে। পরীক্ষার মরসুম হওয়ায় চারদিক ঘিরে প্যান্ডেল করে সভার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সভার পরেই অমিত শাহ নাগরাকাটায় চলে যাবেন। সেখানে চা বলয়ের নেতা, শ্রমিক সংগঠন এবং চা শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। পরেরদিন শিলিগুড়ি হয়ে তাঁর কলকাতা যাওয়ার কথা। দক্ষিণবঙ্গেরও একই ধরনের সভা হওয়ার কথা।
বিজেপি’র জেলাস্তরের কিছু নেতা জানান, উত্তরবঙ্গের ১৩ হাজার বুথ রয়েছে। প্রতি বুথ থেকে ২ জন কর্মীকে সভায় ডাকা হবে। এ ছাড়াও জেলা কমিটি, বিভিন্ন শাখা সংগঠন, ৮টি লোকসভা এবং ৫৪টি বিধানসভার দায়িত্বে থাকা নেতাকর্মীরা সভায় আসবেন। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা কম করে ৩০ হাজার হবে বলে দাবি তাঁদের। সেক্ষেত্রে ইন্ডোর স্টেডিয়ামে জায়গা হবে না। প্রশাসনের তরফে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে সভার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে ধরে নেওয়া হয়েছে। তাই বাগডোগরার মাঠ বা রেলের সার্কাস ময়দানের কথা ভাবা হয়েছে। এই বাগডোগরার মাঠেই নরেন্দ্র মোদী জনসভা করেছিলেন।
এ দিন বিকেলে মুকুল রায় বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়ার প্রশ্ন নেই। বিজেপি যথেষ্টই ভাল ফল করবে।’’ বিজেপি নেতাদের দাবি, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরে সংগঠন আগের তুলনায় মজবুত। অন্য জেলাতেও কাজ চলছে। সর্বভারতীয় নেতাদের নির্দেশে প্রতিটি বুথে ২-৫ জন করে সক্রিয় কর্মী তৈরি হচ্ছেন। তাঁরা প্রার্থী চয়ন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আলাদা করে প্রচার করবেন। অমিত শাহ এই বাছাই কর্মীদের নিয়ে সভা করতে চান বলে কেন্দ্রীয় স্তর থেকে জানান হয়েছে।