এক মহিলার ক্ষত বিক্ষত অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে মালদহের মোথাবাড়ি ফাঁড়ির গাজিয়াপাড়া গ্রামে। এই গ্রামেই একাই থাকতেন তিনি। পরিবারের লোকেদের দাবি, ওই মহিলাকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। এ দিন দুপুরে গ্রামের এক কবস্থানের পাশ থেকে তাঁর গলাকাটা অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মোথাবাড়ি ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার আত্মীয় পরিজনেরা।
মালদহের পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রেজা বলেন, ‘‘দেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। তার পরই জানা যাবে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা। খুনের কারণও জানার চেষ্টা চলছে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে কালিয়াচক ২ ব্লকের রথবাড়ি পঞ্চায়েতের আমরিতলার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। তিন ভাই, চার বোনের মধ্যে তিনিই ছোট। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দশেক আগে কালিয়াচকের সুজাপুরের এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। কিন্তু স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় বছর খানেকের মধ্যে বিয়ে ভেঙে যায়। তার পর থেকে তিনি পড়শি গাজিয়াপাড়া গ্রামে সরকারি জমিতে বসবাস শুরু করেন। এক কাঠা জমির উপরে ইঁটের গাঁতনি দেওয়া টালির ছাউনি দেওয়া ঘরে বসবাস করতেন। বাড়ির সামনেই সব্জি বিক্রি করে সংসার চালাতেন।
এ দিন দুপুরে বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে এক কবরস্থানের পাশে ফাঁকা জায়গায় তাঁর গলা কাটা-অর্ধনগ্ন ক্ষত বিক্ষত মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলার দেহ থেকে দশ মিটার দূরে মাথাটি পড়েছিল। এ ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের অনুমান, মহিলার পরিচিত কেউ এই খুন করে থাকতে পারে। মৃতার দাদা চিলু শেখ বলেন, ‘‘আমাদের অনুমান কেউ তাঁকে ধর্ষণের পর এই ভাবে নৃশংস ভাবে খুন করেছে। আমরা এই ঘটনার তদন্তের দাবিতে মোথাবাড়ি ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’’ পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে মহিলার জমি হাতানোর জন্য খুন করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই মহিলার সঙ্গে কারও প্রেমের সর্ম্পক ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সব দিক খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy