সিপিএম এর পার্টি অফিস থেকে মিলল গুলি, বোমা, পিস্তল। তা নিয়ে দিনভর আলোড়ন চলেছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানার কাঁচাকালি.এলাকায়। এখানে সিপিএম এর একটি পার্টি অফিসে আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করার অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে পুলিশ ও বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তা উদ্ধার করে। পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছে সিপিএম। তাদের দাবি, চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে।
তৃণমূলের অভিযোগ, মঙ্গলবার গভীর রাতে সিপিএম এর এই পার্টি অফিসে কিছু লোককে দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ও বম্ব স্কোয়াড ঘটনাস্থল থেকে দুটি বোমা, দু’টি পিস্তল তিন রাউন্ড গুলি, কিছু বিস্ফোরক ও তির-ধনুক উদ্ধার করে। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার অমিত কুমার ভারত রাঠোর বলেন, ‘‘আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি জাকির আবেদিন বলেন, ‘‘সিপিএম এলাকাতে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। তাই এলাকাতে গন্ডগোল পাকানোর জন্য তারা ওই ধরণের সামগ্রী জড়ো করেছিল। এলাকার লোকেরা দেখতে পাওয়ায় সেই উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে সিপিএম। দলের চোপড়া জোনাল কমিটির সম্পাদক আনওয়ারুল হক বলেন, ‘‘এলাকাতে সিপিএম এর পার্টি অফিসে লোকেরা বসা শুরু করেছিল। সেই কারণে চক্রান্ত করে এলাকাতে তৃণমূল ওই ঘটনা ঘটিয়েছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘সেখানে পার্টি অফিসের তালা লাগানো ছিল দুটো। পুলিশ ফোন করায় এ দিন পুলিশকে পার্টি অফিসের চাবি দেওয়া হয়। সেই চাবির সঙ্গে তালা মেলেনি। আমাদের তালা ভেঙে চক্রান্ত করে সেই সামগ্রী ঢুকিয়ে অন্য তালা মেরে দিয়েছে। পুলিশকে তা লিখে জমা দিয়েছি।’’
তৃণমূল এলাকাতে নির্বাচনের পর থেকে সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে সিপিএম। বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই খোদ সিপিএম এর প্রার্থী এক্রামূল হক সিপিএম ছেড়ে তৃণমূল যোগ দিয়েছিলেন। এলাকার বেশ কিছু জেলা পরিষদ সদস্য সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এমনকি সিপিএম এর চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতিটিও এখন তৃণমূলের দখলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy