এখানেই পড়েছিল নিহত ব্যবসায়ীর দেহ। (ইনসেটে) তপন শীল। — মনোজ মুখোপাধ্যায়
মাস ঘুরতে না ঘুরতেই ফের খুন ইংরেজবাজারে। সম্প্রতি শহরের বিবেকানন্দ পল্লীতে বাড়িতেই খুন হয়েছিলেন সস্ত্রীক ব্যবসায়ী-সহ তাঁদের এক পরিচারক। বুধবার রাতে মাধবনগরের নতুনপল্লি এলাকায় ফের নিজের বাড়িতে খুন হলেন আরেক ব্যবসায়ী। মৃত তপন শীল (৪৮) একটি পার্লারের মালিক ছিলেন। পরিবারের লোকেরা থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও নির্দিষ্ট কারও নামে অভিযোগ করেননি। মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
বাড়িতেই একের পর এক ব্যবসায়ী খুনের ঘটনার পরে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নতুনপল্লিতে নিজের দোতলা বাড়ির উপর তলায় সপরিবারে থাকতেন তপনবাবু। নীচতলার দুটি ঘরে বছর খানেক ধরে ভাড়া রয়েছেন পেশায় পুলিশ কর্মী কবিতা মন্ডল ও তাঁর পরিবার। তবে বুধবার তাঁরা সপরিবারে আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলেন। রাতে দোকান থেকে বাড়ি ফেরেন তপনবাবু। রাত দশটা নাগাদ ফোন পেয়ে উপর থেকে নিচতলায় নেমে আসেন তিনি। নিচে নেমে আসার মিনিট দশেক বাদেই আর্তনাদ শুনতে পান তপনবাবুর ছেলে ও স্ত্রী। তাঁরা দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে কাতরাচ্ছেন তপনবাবু। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর গলার নলি কেটে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের স্ত্রী সুলতাদেবী বলেন, ‘‘আমার স্বামীকে কে কেন খুন করল কিছুই বুঝতে পারছি না। যারা খুন করেছে পুলিশ তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দিক।’’
এ দিকে, জনবহুল এলাকায় বাড়িতেই খুনের ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ীরাও। মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অফ কর্মাসের সম্পাদক উজ্জ্বল সাহা বলেন, ‘‘এতদিন রাস্তা ঘাটে আক্রান্ত হচ্ছিলেন ব্যবসায়ীরা। এবার বাড়িতেও নিরাপত্তা নেই আমাদের। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার জন্য এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।’’ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহ দুয়েক আগে পাওনা টাকা নিয়ে একদল যুবক তপনবাবুর বাড়িতে এসে চড়াও হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পাওনা টাকা নিয়ে গোলমালের জেরে খুন করা হয়েছে ব্যবসায়ী তপন শীলকে। হত ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়নি। সেটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy