আদালতের নির্দেশে বাজি বিক্রি বন্ধ। বাধ্য হয়ে অনেকেই হয়ে উঠছেন আলোর বিক্রেতা। আবার অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁরা তিন-চার মাস আগেই জিএসটি দিয়ে অনেক টাকা খরচ করে আতশবাজি মজুত করেছেন। এখন বিক্রি বন্ধ হওয়ায় সেই ক্ষতিপূরণ মেটাবে কে? কোচবিহার থেকে আলিপুরদুয়ার সর্বত্রই বাজি বিক্রি বন্ধ। কিন্তু ব্যবসায়ী মহলে এই প্রশ্নটা সকলেরই।
কোচবিহার ভবানীগঞ্জ বাজারের আতশবাজি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মদনমোহন বণিক জানান, আদালতের রায়ের পর থেকে তাঁরা আতশবাজি বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। সেই জায়গায় মাটির প্রদীপ বিক্রি করছেন। তাঁর কথায়, “তিন-চারদিন আগে আদালত এই রায় দিয়েছে ঠিকই। মানতে আমরা বাধ্য। কিন্তু তিন-চার মাস আগে আতশবাজি কিনেছি। নিয়ম মেনে সরকারকে জিএসটি দিয়ে কিনেছি। বিক্রি না হওয়ায় আমাদের অনেক বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। এটা সবারই ভাবা উচিত।” দিনহাটার এক বিক্রেতা বাবু সাহা বলেন, ‘‘প্রতিবছর বড় অঙ্কের আতশবাজি বিক্রি করি। এ বছর হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে বাজি বিক্রি না করলেও মোম, মাটির প্রদীপ এবং টুনি বাল্ব বিক্রি করব।’’ জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন এলাকার বাজি বিক্রেতাদের অনেকেরই মাথায় হাত পড়েছে। এই অবস্থায় চরম আর্থিক ক্ষতি রুখতে বাধ্য হয়ে অনেকেই টুনি লাইট এবং বিভিন্ন ধরনের আলোর সামগ্রী বিক্রির দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছেন। কিন্তু বাজিতে পুঁজির সবটা খরচ হয়ে যাওয়ায় অনেকের পক্ষে আলোর সরঞ্জাম কিনে বিক্রি করাটাও সমস্যার বলেও অভিযোগ।