Advertisement
E-Paper

বিধায়কের নাম নেই, মেলায় প্রশ্ন

মহকুমা কৃষিমেলার আমন্ত্রপত্রে নাম রয়েছে শাসকদলের পঞ্চায়েত প্রধান-সহ ছোট, মাঝারি একঝাঁক নেতার। কিন্তু নাম নেই কংগ্রেসের বিধায়কের। আমন্ত্রণ জানানো হয়নি জেলা পরিষদের স্থানীয় কংগ্রেস সদস্যকেও। এই অভিযোগ করে অনুষ্ঠানে গিয়ে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেও মঞ্চ বয়কট করলেন বিধায়ক।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:১৭
চাঁচলের বিধায়ক আসিফ মেহবুব।

চাঁচলের বিধায়ক আসিফ মেহবুব।

মহকুমা কৃষিমেলার আমন্ত্রপত্রে নাম রয়েছে শাসকদলের পঞ্চায়েত প্রধান-সহ ছোট, মাঝারি একঝাঁক নেতার। কিন্তু নাম নেই কংগ্রেসের বিধায়কের। আমন্ত্রণ জানানো হয়নি জেলা পরিষদের স্থানীয় কংগ্রেস সদস্যকেও। এই অভিযোগ করে অনুষ্ঠানে গিয়ে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেও মঞ্চ বয়কট করলেন বিধায়ক।

আবার লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে মেলার আয়োজন করা হলেও সেখানে সরকারি আধিকারিক-সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের যেতে হচ্ছে নাকে রুমাল দিয়ে। কেন না অনুষ্ঠান মঞ্চের থেকে ঢিল ছোড়া দূরেই রয়েছে পাহাড় প্রমাণ জঞ্জালের স্তূপ। মেলার আগে কেন সেই জঞ্জাল সাফাই হল না সেই প্রশ্ন তুলেও তৈরি হয়েছে ক্ষোভ।

এই জোড়া বিতর্ক-ক্ষোভেই রবিবার থেকে শুরু হল মালদহের চাঁচল-১ ব্লক ও মহকুমা মাটি, কৃষি, উদ্যান পালন, মত্স্য, খাদ্য, কৃষি বিপণন, সমবায় ও প্রাণিসম্পদ মেলা। রবিবার কৃষক বাজারে মেলার উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। হাজির ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল, জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য়, জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল হোসেন-সহ জেলা প্রশাসন ও কৃষি দফতরের আধিকারিকেরা।

ঘটনায় ক্ষুব্ধ চাঁচলের বিধায়ক আসিফ মেহবুব বলেন, ‘‘যে হেতু মহকুমা কৃষি মেলা, তাই চার বিধায়কের নামই আমন্ত্রণপত্রে থাকা উচিত ছিল। আমাকে তাও চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়। জেলা পরিষদ সদস্য চন্দনা ঘোষকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে বহু দিনের সম্পর্ক, তিনি আসছেন জেনে সেখানে যাই। পরে মঞ্চে উঠতে বললে এই ঘটনার প্রতিবাদে মঞ্চ বয়কট করে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ফিরে আসি।’’ এ দিকে কৃষক বাজারের পিছনে যেখানে মেলার আয়োজন করা হয়েছে তার প্রায় সামনেই রাস্তার পাশে দৈনিক বাজারের জঞ্জাল ফেলার জায়গা। মেলায় ঢোকার জন্য গাড়ি রাখতে হচ্ছে তার সামনেই। এত বিপুল খরচ করে মেলার আয়োজন করা হলেও কেন সেই জঞ্জাল সাফাই করার কথা আয়োজকেরা এড়িয়ে গেলেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

মেলা কমিটির আহ্বায়ক তথা মহকুমা কৃষি দফতরের সহ অধিকর্তা (প্রশাসন) জয়ন্ত দাসকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এ নিয়ে পরে কথা হবে।’’ শহরের এক কংগ্রেস নেতার টিপ্পনি, কৃষি দফতর ও প্রশাসন শাসকদলকে তুষ্ট করতে এতটাই ব্যস্ত যে বাকি সব ভুলে গিয়েছে। মহকুমাশাসক সব্যসাচী রায় অবশ্য বলেন, ‘‘বিধায়কদের নাম না থাকাটা অনিচ্ছাকৃত ভুল। পরবর্তী কালে এমন যাতে না হয় নজর রাখা হবে। জঞ্জাল সাফাইয়ের বিষয়টিও দেখা হচ্ছে।’’

Asif Mehbub Chanchal Congress
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy