Advertisement
১৮ মে ২০২৪
জলপাইগুড়িতে কলেজ নির্বাচন

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ভোট বন্ধের দাবি

ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দলের গোষ্ঠী কোন্দল ক্রমশ বাড়তে থাকায় জলপাইগুড়িতে এ বার তৃণমূলের অন্দরেই কলেজ নির্বাচন বন্ধের দাবি উঠল৷

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:৩২
Share: Save:

ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দলের গোষ্ঠী কোন্দল ক্রমশ বাড়তে থাকায় জলপাইগুড়িতে এ বার তৃণমূলের অন্দরেই কলেজ নির্বাচন বন্ধের দাবি উঠল৷ তৃণমূলের জলপাইগুড়ি শহর ব্লক সভাপতি তথা পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু ইতিমধ্যেই এই দাবি তুলে বিষয়টি নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে আর্জি জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ তবে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের একটা অংশ অবশ্য এখনও আলোচনার মাধ্যমে কোন্দল মেটানোর পক্ষে আশাবাদী৷

কলেজ নির্বাচনকে ঘিরে জলপাইগুড়িতে গোষ্ঠী কোন্দলের শুরুটা টিএমসিপির অন্দরে হলেও, এই মুহুর্তে তা কার্যত দলের অন্দরেও ছড়িয়ে গিয়েছে৷ আর তাতেই বিরক্ত জেলার তৃণমূল নেতৃত্বের একটা অংশ৷ কলেজ নির্বাচনের মনোনয়ন তোলার দিন থেকেই জলপাইগুড়ি শহরের তিন কলেজকে ঘিরে তৃণমূল যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় ও টিএমসিপি সভাপতি অভিজিৎ সিংহের মধ্যে বিবাদ প্রকাশ্যে আসে৷ যা চরম আকার নেয় গত ৩ জানুয়ারি৷ ওই দিন গভীর রাতে ধারাল অস্ত্রের কোপে মারাত্মক জখম হন যুব তৃণমূল কর্মী শুভঙ্কর মিশ্র৷ এত দিন ওই ঘটনার জেরে সৈকত অনুগামীরা সরাসরি অভিজিৎ ও তার দলবলকে দায়ী করলেও, শনিবার রীতিমত সাংবাদিক বৈঠক করে সৈকত অভিযোগ করেন, টিএমসিপি-র অন্দরে জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীর অনুগামী নেতাদের সঙ্গে মতপার্থক্যের জন্যই জখম হতে হয় শুভঙ্করকে৷ সৈকতের এই মন্তব্যের জেরে কলেজ নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠী কোন্দল কার্যত প্রকাশ্যে চলে আসে৷

গত কয়েক দিন ধরেই টিএমসিপি-র দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চলাচ্ছিলেন তৃণমূলের জেলা নেতারা৷ যাতে সৌরভ ছাড়াও সামিল ছিলেন সাংসদ বিজয় বর্মন ও মোহন বসু৷ কলেজ নির্বাচনে কে ক’টা আসনে লড়বেন তা-ও তাঁরা ভাগ করে দেন৷ তারপরও কাজিয়া ক্রমশ বাড়তেই থাকায় এ বার সরাসরি জলপাইগুড়ি শহরের তিন কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধের দাবি তুললেন মোহনবাবু৷ তাঁর সাফ কথা, “আইন-শৃঙ্খলা বজায় থাকাটাই জলপাইগুড়ি শহরের একটা ঐতিহ্য৷ কিন্তু যে ভাবে এই শহরের কলেজগুলির পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, তাতে করে এমন নির্বাচনের প্রয়োজন রয়েছে বলে আমি মনে করি না৷ সে জন্যই রাজ্য নেতৃত্বের কাছে নির্বাচন বন্ধের আর্জি জানাব৷’’ তিনি জানান, দল দুই পক্ষকে নিয়ে সমস্ত সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেছে৷ তারপরও যখন তা মিটছে না, তখন বুঝতে হবে এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে৷ পুলিশের উচিত একের পর এক অভিযোগের পেছনে রহস্য কী রয়েছে তা বের করা৷তিনি বলেন, ‘‘পুলিশের চুপ করে থাকার পিছনে দলের কোন নেতার হাত থাকলে সেটাও পুলিশের প্রকাশ করা উচিত৷

তবে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের একটা অংশ অবশ্য এখনও আলোচনার মাধ্যমেই কোন্দল মেটার ব্যাপারে আশাবাদী৷ দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি তথা সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘‘আবার আমরা আলোচনায় বসব৷ এবং আলোনার মাধ্যমেই কী করে, এই বিবাদ মেটানো যায় তার চেষ্টা করব৷’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Jalpaiguri College Election Group Clash
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE