দেওয়াল-লিখন: প্রার্থী ঠিক হয়নি। তবু প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে বালুরঘাট। নিজস্ব চিত্র
এখনও প্রার্থী তালিকা তৈরি হয়নি। কিন্তু কাজে নেমে পড়েছেন নানা দলের কর্মীরা। কোনও দেওয়ালে হচ্ছে চুনের প্রলেপ, কোথাও আবার দেওয়ালের এক কোণে লিখে দেওয়া হচ্ছে দলের নাম। মালদহ জেলার ১৫টি ব্লকেই শুরু হয়ে গিয়েছে দেওয়াল দখলের লড়াই। এই কাজে শাসক দল এগিয়ে থাকলেও খুব বেশি পিছিয়ে নেই বিরোধীরাও। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রচারের জন্য দেওয়াল দখলকে সেমিফাইনাল ম্যাচ হিসেবে দেখছেন ডান-বাম সব দলের কর্মীরাই। রবিবার ছুটির দিনে এই ছবিই দেখা গেল মালদহের গাজল, হবিবপুর, পুরাতন মালদহ-সব বিভিন্ন ব্লকে।
বিধানসভা নির্বাচনে সারা রাজ্যে ধাক্কা খেয়েছিল বাম-কংগ্রেস সমঝোতা। তবে মালদহ জেলায় তা সফল হয়েছিল। জেলার ১২টি বিধানসভা আসনেই হেরেছিল তৃণমূল। বিধানসভা নির্বাচনের সেই মডেলকে এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ব্যবহার করতে চাইছেন বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। এতে হয়েছে সমস্যাও। আসন সমঝোতার গেরোয় ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে প্রার্থী তালিকা এখনও তৈরি করতে পারেনি বামেরা। তালিকা হয়নি কংগ্রেসেরও।
অন্য দিকে, গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে জেরবার মালদহের তৃণমূল। ফলে পঞ্চায়েতে টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে এই জেলায় অনেক ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে তৃণমূলের রাজ্য নেতাদের। বিভিন্ন ব্লক থেকে প্রার্থী তালিকা জমা দেওয়ার হিড়িক পড়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
চার শুরু হয়েছে মালদহেও।
এ দিন সকাল থেকেই গাজলে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে চলছে দেওয়াল দখল ও লিখনের কাজ। এছাড়া পুরাতন মালদহ, হবিবপুর, বামনগোলা, মানিকচক সর্বত্রই চলছে দেওয়ার দখলের কাজ। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসূন রায় বলেন, “এবারের আমাদের লক্ষ্য জেলা পরিষদ দখল। তাই জেলা জুড়েই ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দ্রুত দেওয়াল দখল করে রাখা। আর প্রার্থী ঘোষণা হতেই দেওয়াল লিখন শুরু করতে।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন হবেন, “খুব দ্রুত প্রার্থী তালিকা চুড়ান্ত করে নাম ঘোষণা করা হবে। তাই প্রার্থী তালিকা ঘোষণার অপেক্ষা না করেই নেত্রীর আদর্শকে সামনে রেখে প্রচারে ঝাপিয়ে পড়েছি আমরা।” জেলা কংগ্রেসের সভানেত্রী মৌসম নুর বলেন, “আমরা দেওয়ালে নয়, মালদহের মানুষের কাছেই রয়েছি। তবুও কর্মীরা দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু করে দিয়েছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy