Advertisement
E-Paper

ছিটবাসীদের উপরে ‘লাঠি’

পুলিশ ও প্রশাসন অবশ্য লাঠিচার্জের অভিযোগ সম্পুর্ণ ভাবে উড়িয়ে দিয়েছে। তাঁদের দাবি, আন্দোলনকারীরা এ দিন উত্তেজিত হয়ে পড়ে। মহকুমাশাসকের দফতরের ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর করে তাঁরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৭ ০১:৩৮

অনশনে বসা সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দাদের উপরে লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে মেখলিগঞ্জ মহকুমাশাসকের দফতরে।

আন্দোলনকারীদের দাবি, ওই ঘটনায় ৩০ জন জখম হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৬ জন মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতাল থেকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। ঘটনার পরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মেখলিগঞ্জে। বিজেপির পক্ষ থেকে ধিক্কার মিছিল বের করা হয়। পুলিশ ও প্রশাসন অবশ্য লাঠিচার্জের অভিযোগ সম্পুর্ণ ভাবে উড়িয়ে দিয়েছে। তাঁদের দাবি, আন্দোলনকারীরা এ দিন উত্তেজিত হয়ে পড়ে। মহকুমাশাসকের দফতরের ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর করে তাঁরা। সেই সময় বেশ কয়েকজন মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাঁদের পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ভাঙচুরের অভিযোগ ছিটমহলের বাসিন্দারা অস্বীকার করেছে।

কোচবিহারের জেলাশাসক কৌশিক সাহা বলেন, “লাঠিচার্জের অভিযোগ একদম ঠিক নয়। আমরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছিলানম। এ দিন হঠাৎ মহকুমাশাসকের অফিসে ঢুকে ভাঙচুর করে তাঁরা। পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়।” মেখলিগঞ্জ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অভিষেক সরকার জানান, তিনদিন ধরে অনশনের ফলে মহিলারা অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের উদ্ধার করার জন্য পুলিশ অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে সেখানে ছিল। সেই সময় ভাঙচুর করতে গিয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে কয়েকজন। তিনি বলেন, “কারও উপরে লাঠিচার্জ হয়নি।” সেখানকার বাসিন্দা সুখিনচন্দ্র রায় অবশ্য বলেন, “কথা বলার জন্য আমাদের কয়েকজনকে ডেকে নিয়ে গিয়ে লাঠি দিয়ে মারধর করে ওরা। সেই সময় আরও কয়েকজন ভিতরে ঢুকলে তাঁদেরও মারধর করা হয়।’’

প্রশাসন সূত্রের খবর, সঠিক জায়গায় স্থায়ী পুনর্বাসন, কাজের ব্যবস্থা-সহ একাধিক দাবিতে বুধবার থেকে মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে অনশনে বসেন সাবেক ছিটমহলের ভোটবাড়ি ক্যাম্পের বাসিন্দারা। গত দু’দিনে দু’জন মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। বিজেপির অভিযোগ, এ দিন তৃণমূলের এক ব্লক নেতা সেখানে গিয়ে আন্দোলনকারীদের অনশন তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। এর পরেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। বিজেপির মেখলিগঞ্জ ব্লকের নেতা দধিরাম রায় বলেন, “নিরীহ আন্দোলনকারীদের উপরে তৃণমূল নেতার উস্কানিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।” তৃণমূল ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মেখলিগঞ্জের বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধান বলেন, “পুলিশ লাঠিচার্জ করেনি। বিজেপির উস্কানিতে কয়েকজন ভাঙচুর করেছে। এমন রাজনীতি ঠিক নয়।”

police Complaint Lathicharge লাঠিচার্জ ছিটমহল India–Bangladesh enclaves
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy