দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক চলাকালীন বিজেপি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূল অঞ্চল যুব সভাপতিকে মারধর করেছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের ঘটনায় উত্তপ্ত কোচবিহারের তুফানগঞ্জ-১ ব্লক। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ বাহিনী। দুই পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে একে অপরের বিরুদ্ধে।
অন্দোরান ফুলবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রধান ননীবালা বর্মণের বাড়িতে বৈঠকে চলছিল নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি ৫ নম্বর মণ্ডলের কর্মীদের। অভিযোগ, ওই সময়ে প্রধানের বাড়িতে তির-ধনুক নিয়ে হামলা চালায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। সেই অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ তুলে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আশার আলি বলেন, ‘‘আমাদের একটি যোগদান কর্মসূচি ছিল সেই কারণেই আমরা এখানে এসেছি। আমাদের কর্মসূচিকে ব্যর্থ করতে বিজেপি একই জায়গায় বৈঠকের ডাক দেয়। বিভিন্ন এলাকা থেকে বিজেপি কর্মীদের নিয়ে এসে তৃণমূলের উপরে হামলা চালানো হয়। মারধর করা হয় তৃণমূল অঞ্চল যুব সভাপতি সুব্রত দাস-সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের।’’
আরও পড়ুন:
মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিধায়ক মিহির গোস্বামী গেলে ফের উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় পৌঁছয় তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ বাহিনী। থানাতে গিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।
বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, ‘‘স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে বিজেপির কর্মীসভা ডাকা হয়েছিল। সেই সভায় যখন কর্মী ও সমর্থকেরা আসছিলেন তখন তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকেরা আমাদের কর্মীদের উপরে হামলা চালায়। ঘটনার খবর পেয়ে আমি ছুটে এসেছি।’’ তাঁর দাবি, তৃণমূল মিথ্যে অভইযোগ করছে। তৃণমূলের কোনও কর্মীকে আক্রমণ করা হয়নি।