গুরুঙ্গের সঙ্গে নাসির।—নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল বিরোধী জোটে সামিল হওয়ার ব্যাপারে দলে ভাবনাচিন্তা চলছে বলে কিছুদিন আগেই দাবি করেছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। বুধবার উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া আসনে মোর্চার প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণায় তাই দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। এ দিন মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাজি নাসির আহমেদ খানকে চোপড়া আসনে প্রার্থী করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে চোপরা আসনে বামেরা প্রার্থী হিসেবে এক্রামূল হকের নাম ঘোষণা করেছে। গত মঙ্গলবার কংগ্রেসের দেওয়া প্রথম দফার আসন তালিকায় চোপড়ার নাম নেই। তাই তৃণমূল বিরোধী আসন সমঝোতায় চোপড়া আসনে বামেদের প্রার্থী থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে চোপড়ায় মোর্চা প্রার্থী দেওয়ায় তৃণমূলেরই সুবিধে হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা দলেরই নেতা-কর্মীদের। তাঁদের দাবি, বিরোধী ভোট ভাগাভাগি হলে সুবিধে হবে তৃণমূলেরই। এ ক্ষেত্রে কেন দল এমন সিদ্ধান্ত নিল সেটাই প্রশ্ন কর্মী-সমর্থকদের। সমতলের চোপড়া শুধু নয়, ডুয়ার্সের নাগরাকাটা আসনেও আদিবাসী বিকাশ নেতা জন বার্লা প্রার্থী হলে, তাঁকে সমর্থন জানানো হবে বলে এ দিন গুরুঙ্গ ঘোষণা করেছেন।
এ দিন মোর্চা প্রধান বিমল গুরুঙ্গ দাবি করে বলেন, ‘‘চোপরার বাসিন্দারা এবং বিভিন্ন সংগঠন হাজি নাসির আহমেদ খানকে প্রার্থী করার জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই আর্জিতে সাড়া দিয়েই তাঁকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নাগরাকাটা আসনে জন বার্লা প্রার্থী হলে তাঁকেও সমর্থন জানাব।’’ ষাট পেরোনো হাজিসাহেব দাবি করেছেন, চোপড়ার বেশ কয়েকটি সংগঠন তাঁকে সমর্থন জানিয়েছে। একসময়ে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও, বছর দেড়েক আগে তিনি মোর্চায় যোগ দেন। কার্শিয়াঙের বাসিন্দা হাজিসাহেবের নিয়মিত চোপড়ায় যাতায়াত রয়েছে। চোপড়া এলাকার মোর্চা সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, ওই এলাকায় দলের কাজকর্মও তিনি দেখতেন।
তৃণমূল বিরোধী জোটে সামিল হওয়া নিয়ে এ দিন মোর্চা নেতারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। মোর্চার সহকারী সম্পাদক জ্যোতি কুমার রাইয়ের কথায়, ‘‘জোট নিয়ে কিছু বলার নেই। তবে আমরা তৃণমূলকে হারাতেই ভোটে লড়ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy