Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in North Bengal

কোয়রান্টিনে তুমুল বিক্ষোভ

স্থানীয় সূত্রের খবর, কোয়রান্টিন সেন্টারে অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে দিনকয়েক ধরেই সেখানকার আবাসিকদের ক্ষোভ বাড়ছিল।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২০ ০৫:৫১
Share: Save:

অব্যবস্থার অভিযোগে কোয়রান্টিন সেন্টারে ভিন জায়গা থেকে ফেরা আবাসিকদের বিক্ষোভ। আর যার জেরে সোমবার সন্ধ্যায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল ফালাকাটার জটেশ্বরে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, কোয়রান্টিন সেন্টারে অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে দিনকয়েক ধরেই সেখানকার আবাসিকদের ক্ষোভ বাড়ছিল। আরও অভিযোগ, প্রথমত তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করতে অনেকটাই দেরি করা হয়। তারপর নমুনা রিপোর্ট আসতেও দেরি। উল্টে নতুন করে আরও অনেককে সেই সেন্টারে ঢুকিয়ে অযথা ভিড় বাড়ানো হচ্ছে। এমনই একাধিক অভিযোগে সোমবার সন্ধেয় জটেশ্বরের ওই সেন্টারে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অনেকেই। খবর পেয়ে সেখানে বিডিও ও পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা ছুটে যান। তাঁদেরকে উদ্দেশ্য করে সেন্টারের কেউ একজন মেঝেতে পড়ে থাকা বালতি ছুড়েও দেন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিডিও।

প্রশাসন সূত্রের খবর, জটেশ্বরের ওই কোয়রান্টিন সেন্টারে এই মুহূর্তে তিন শতাধিক মানুষ রয়েছেন। যাঁদের একটা অংশ ১০ মে থেকে আছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জেলার বিভিন্ন কোয়রান্টিন সেন্টারের আবাসিকদের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠানো হচ্ছে। অভিযোগ, অথচ তাঁদের ক্ষেত্রে ১৪ মে নমুনা নেওয়া হয়। চারদিন পার হয়ে যাওয়ার পরও সেই রিপোর্ট জেলায় আসেনি। উল্টে সেন্টারে নতুনদের সঙ্গে গাদাগাদি করে রাখার পাশাপাশি শৌচাগারও ঠিকমতো পরিষ্কার হচ্ছে না বলেও অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রের খবর, এই অবস্থায় এ দিন বিকেলে ওই কোয়রান্টিন সেন্টারে থাকা কেউ কেউ রাতের খাবার বয়কটের হুমকি দেন। তবে এরই মধ্যে শৌচাগার পরিষ্কারের ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। সেই কাজ শুরু হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সেখানে থাকা আবাসিকেরা। শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। বিক্ষোভ সামলাতে সিভিক ভলান্টিয়াররা এগিয়ে গেলে তাঁদের সঙ্গে কোয়রান্টিন সেন্টারের আবাসিকদের ধস্তাধস্তি হয় বলে অভিযোগ। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশ কর্তারা।

ফালাকাটার বিডিও সুপ্রতীক মজুমদার ও পুলিশ আধিকারিকেরা সেখানে ছুটে যান। তখন তাঁদের উদ্দেশ্য করে জলভর্তি একটি বালতি কেউ লাথি মেরে ছুড়ে দেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় জটেশ্বর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রাজকুমার রায় বলেন, “শৌচাগারের অপরিচ্ছন্নতা নিয়েই যাবতীয় গোলমালের শুরু হয়। বিডিও ও অন্য আধিকারিকেরা সেখানে গেলে তাঁদেরকে উদ্দেশ্য করে বালতিতেও লাথি মারা হয় বলে শুনেছি। এমনটাও শুনতে পেলাম, সেই বালতির জল বিডিও ও অন্য আধিকারিকদের গায়ে ছিটকে লাগে।”

যদিও বিডিও সুপ্রতীক বলেন, “এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।” জয়গাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ওই কোয়রান্টিন সেন্টারের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে। ওই কোয়রান্টিন সেন্টারের প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট দ্রুত আনার চেষ্টা চলছে বলে আলিপুরদুয়ারে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE