প্রতীকী ছবি
একে ঋতু বদল, তার উপরে করোনার হানা। ‘লকডাউন’ হওয়ার ফলে সকলে মিলে গৃহবন্দিও। চট করে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার উপায় নেই। তাই এখন কী করবেন, কী করবেন না— এই নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে রইল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ।
করোনা সংক্রমণের জেরে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে উত্তরবঙ্গে। এই সময়ে সতর্কতা আরও বেশি করে জরুরি। লকডাউনের সময়ে কী ভাবে চলবেন, কোনদিকে খেয়াল রাখবেন, পরামর্শ দিচ্ছেন দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক উজ্জ্বল আচার্য।
এখনও পর্যন্ত করোনায় বিশ্বে আক্রান্ত সাত লক্ষ চার হাজার জন। এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন তেত্রিশ হাজারেরও বেশি মানুষ। ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় বারোশো। মারা গিয়েছেন উনত্রিশ জন। এখন করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশে চলছে লকডাউন। এখনও অনেকের মধ্যে গা-ছাড়া ভাব রয়েছে। অনেকেই লকডাউনকে নিচ্ছেন হালকাভাবে। কিন্তু লকডাউনই এখন বাঁচার রাস্তা। সামাজিক দূরত্ব তৈরি করে সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে হবে। ভিন্ রাজ্য থেকে যারা এসেছেন তাঁরা নিজেদেরকে কোয়রান্টিনে রাখুন, অন্যদের সংস্পর্শে আসবেন না। নিজের মধ্যে কোনও উপসর্গ দেখা দিলে নিজেকে অন্যদের থেকে দূরে রাখুন।
ঘরবন্দি হওয়া ছাড়া এখন আমাদের আর কোনও উপায় নেই। কোনও অজুহাতে বাইরে বেরনোর প্রবণতা রুখতে হবে। যারা ব্যাপারটিকে হালকাভাবে নিচ্ছেন তাঁদের প্রতি কঠোর হতে হবে প্রশাসনকে। অনেক জায়গাতেই বাজার, চায়ের দোকানে ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে।
এই মুহূর্তে সচেতনতা খুব জরুরি। বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে বা অ্যালকোহল যুক্ত স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করতে হবে। নাক-মুখ ঢেকে রাখতে হবে হাঁচি-কাশির সময়। বাইরে থেকে এলে নিজের চোখে মুখে নাকে হাত দেওয়া যাবে না।
এখনও আমরা স্টেজ় টু তে আছি, কোনও অবস্থাতেই স্টেজ় থ্রিতে পৌঁছনো যাবে না। সেটা সম্ভব হবে আমাদের সচেতনতায় এবং সকলের সহযোগিতায়। এড়াতে হবে জমায়েত। অনেকে ত্রাণ নিয়ে একসঙ্গে অনেকের কাছে হাজির হচ্ছেন, এটা ঠিক নয়। ঠিকানা সংগ্রহ করে একজন দু’জন করে কাজগুলো করা যায়। এরমধ্যে আশার আলো এই যে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত তিনজন সুস্থতার পথে। করোনায় আক্রান্ত হলে যে মৃত্যু ঘটবে এমনটি নয়। এই রোগে মৃত্যুহার দুই-চার শতাংশ।
তবে করোনায় মৃত্যু ঘটলে দেহ সৎকারে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। মৃতদেহে হাত দেওয়া চলবে না। প্লাস্টিকের ব্যাগে দেহ ভরে নিতে হবে। যিনি সৎকারের কাজ করবেন তাঁকেও পার্সোনাল প্রটেকশন নিতে হবে। শ্মশানে অতিরিক্ত জমায়েত করা যাবে না। বৈদ্যুতিক চুল্লিতে দাহ করাই সবচেয়ে ভাল উপায়। মৃতদেহে ক’দিন ভাইরাস থাকতে পারে সে ব্যাপারে এখনও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। দেহ স্পর্শ না করে যে সমস্ত আচার নিয়ম আছে সেগুলো মানা যেতে পারে। তবে কোনওমতেই মৃতদেহকে স্নান করানোর মতো পদ্ধতি অবলম্বন করা যাবে না।
মৃতদেহ কবর দিতে চাইলে একটা ‘এয়ারটাইট’ মোটা কফিনে দেহ রাখতে হবে এবং চার-ছয় ফুট নীচে কবর দিতে হবে। অতিরিক্ত সর্তকতা হিসাবে জায়গাটা প্লাস্টার করে দিতে হবে সিমেন্ট দিয়ে।
অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy