শুক্রবার নিজের বৌভাতে পাত্র প্রমথ বিশ্বাস রক্তদান করে ওই শিবিরের সূচনা করেন। —নিজস্ব চিত্র।
হইহুল্লোড়, ভূরিভোজে অতিথি আপ্যায়নেই বিয়ে বা বৌভাতের অনুষ্ঠান সেরে ফেলেন অনেকে। তবে মালদহের এক নবদম্পতি তাঁদের বৌভাতের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখলেন একটু অন্য ভাবে। রীতি মেনে বৌভাতের আচার-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি থাকল রক্তদান শিবির। করা হল বৃক্ষরোপণও। শুক্রবার মালদহের গাজলে কার্যত এ ভাবেই ‘নবজীবনে’র বার্তা দিলেন ওই নবদম্পতি।
বুধবার, ১৪ জুলাই বিয়ে করেছেন গাজলের বাসিন্দা প্রমথ এবং সুমি বিশ্বাস। গাজল ব্লকের আহোড়ার দুর্গাপুরের বাড়িতে নবদম্পতির বৌভাত ছিল শুক্রবার। তবে সেই অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছিল রক্তদান শিবিরও। করোনা পরিস্থিতিতে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা গেলেও তাতে আমন্ত্রিতের সংখ্যা সর্বোচ্চ ৫০ জন হতে পারে বলে নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। সেই নিয়ম মেনে ওই শিবিরে আমন্ত্রিত ছিলেন ৫০ জন। তবে তাঁরা সকলেই কেবলমাত্র অতিথি নন, রক্তদাতাও বটে।
শুক্রবার প্রমথ নিজেই রক্তদান করে ওই শিবিরের সূচনা করেন। এর পর বৌভাতে আমন্ত্রিত ৫০ জনের মধ্যে ২২ জন রক্তদান করেন। রক্তদান শিবিরের পর নববধূ সুমি বৃক্ষরোপণ করেন। তাঁর কথায়,‘‘সবুজের সঙ্গে আমরা সবাই নতুন সৃষ্টির তরে।’’ এর পর রক্তদানকারী প্রত্যেককে একটি করে চারাগাছ উপহার দেওয়া দেন নবদম্পতি।
শুক্রবারের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিতি থেকে নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করেন পাকুয়াহাট সমবেত প্রয়াসের কোষাধ্যক্ষ সুশান্ত সরকার, মালদার রক্তদান আন্দোলনের অন্যতম কর্মী সুরজিৎ মণ্ডল, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ব্লাড সেন্টারের চিকিৎসক সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারত স্কাউটস অ্যান্ড গাইডস মালদহ জেলা শাখার জেলা রক্তদান শিবিরের আহ্বায়ক অনিলকুমার সাহা প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy