প্রতীকী ছবি।
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাব পড়ল উপনির্বাচনের প্রচারেও। শুক্রবার সকাল থেকেই মালদহের আকাশ ছিল মেঘলা। বিকেলের পর থেকে কখনও ঝিরঝিরে, আবার কখনও মাঝারি বৃষ্টি হয় মালদহে। আর তাতেই বিকেলের পর থেকেই রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার থমকে যায় হবিবপুরে। অনেকেই তাই আর প্রচারের ঝুঁকি নেননি। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক করে সময় কাটালেন ডান-বাম রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা।
সামনের ১৯ মে মালদহের হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর্ব শেষ হতেই প্রচারে ঝাঁজ বাড়িয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হবিবপুর বিধানসভা চষে বেড়াচ্ছেন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। কিন্তু তার মধ্যেই ফণী-র আতঙ্ক এসে পড়ায় থমকে গেল প্রচার। অনেক দলই জানিয়েছে, এখন মানুষ ঝড়ের আতঙ্কে রয়েছেন। তাই এখন জনসংযোগ করার কর্মসূচি বন্ধ রয়েছে।
কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক দলই মনে করছে, এই বিপদের মুখে মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাই তাঁদের প্রধান কর্তব্য। সে কারণে ফণী যদি আছড়ে পড়ে, তাতে চাষের ক্ষতি হলে তা সামাল দেওয়ার জন্য কী করণীয়, সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। এই এলাকার অনেক বাড়িই চালা ঘরের। তেমন বাসিন্দাদের যাতে দ্রুত আশ্রয় শিবিরে নিয়ে যাওয়া যায়, তার ব্যবস্থাই করছেন অনেকে।
যে কারণে বারবার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে, ফণী কোন পথ দিয়ে কোন দিকে যাচ্ছে। শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত তাই বারবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের দেখা গিয়েছে ঝড়ের গতিপ্রকৃতির খোঁজ নিতে।
সে কারমেই দুপুর পর্যন্ত প্রচার চললেও বিকেলের পর থমকে যায় প্রচার। বিকেলের পর পদযাত্রা হওয়ার কথা ছিল তৃণমূলের। সেই কর্মসূচিতে বদল হয়। প্রার্থী অমল কিস্কু বলেন, “ফণী নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। সকলেই টিভির পর্দায় নজর রাখছেন নিয়মিত। এদিন বিকেলের পর থেকে বৃষ্টির গতি বেড়ে যায়। তাই ঘরোয়া বৈঠক করে সময় কাটানো হয়।” বাড়ি প্রচার বন্ধ রাখেন বিজেপি এবং সিপিএম প্রার্থীরাও। জোয়েল মুর্মূ বলেন, “মানুষের সঙ্গে আমরা সব সময় রয়েছি। যাতে মানুষের অসুবিধে না হয় সেই বিষয়ে খেয়াল রাখছি।” বাড়ি বাড়ি প্রচারে জোর দিয়েছেন সিপিএম প্রার্থী সাধু টুডু। তিনি বামনগোলা ব্লকের বাজারে গিয়ে ভোট প্রচার করেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন এবারের লোকসভা নির্বাচনের উত্তর মালদহের প্রার্থী বিশ্বনাথ ঘোষ সহ একাধিক নেতৃত্ব।
তবে এ দিন বামনগোলা ব্লকের পাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জোরদার প্রচার সারেন কংগ্রেস প্রার্থী রেজিনা মুর্মু। এদিন সকালে পাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নিমডাঙা গ্রাম থেকে প্রচার শুরু করেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তিনি ভোট চান। হেঁটে নিমডাঙা ১, ২ ও ৩ নম্বর গ্রামে প্রচার করে তিনি একে একে যান খিড়িপাড়া, উপরপাড়া, জামুবাড়ি প্রভৃতি গ্রামে। মাঝে বৃষ্টিতে প্রচার কিছুটা ব্যাহত হয়। বিকেলে জামতলায় গিয়ে ছোটখাট একটি কর্মিসভাও করেন রেজিনা। সন্ধে থেকে রাত পর্যন্ত পাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ছোট ছোট কর্মিসভা করেন তিনি। রেজিনা বলেন, “প্রচারে ভাল সাড়া। এদিন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থাকায় প্রচারে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি থাকাকালীন প্রচুর উন্নয়ন করেছি। মানুষ দেখেছেন। সেই কাজের নিরিখেই ভোট চাইছি।”
এ বারের উপনির্বাচনে ৮ জন প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে তৃণমূলের অমলবাবু, যিনি গত নির্বাচনে ৬১ হাজার ৫৮৩ ভোট পেলেও মাত্র ২ হাজার ৫১২ ভোটে খগেন মুর্মুর কাছে পরাজিত হন। আর নির্দল প্রার্থী মণ্ডল মার্ডি গত নির্বাচনে ২ হাজার ৯১৮টি ভোট পেয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy