ফাইল চিত্র।
ফণীর আশঙ্কায় এ বার সরকারি কর্মীদের ছুটিও বাতিল হল জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে।
সোমবার পর্যন্ত জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের কয়েকটি দফতরের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এই ক’দিন নতুন করে ছুটিও নেওয়া যাবে না বলে প্রশাসন জানিয়েছে। কোচবিহারের সরকারি কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলাশাসককের অনুমতি ছাড়া ছুটি নেওয়া বা অন্যত্র যাওয়া চলবে না। গত বৃহস্পতিবারই রাজ্য সরকার ফণীতে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সরকারি স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেছিল। এ বার রাজ্যের নির্দেশে সরকারি কর্মীদের ছুটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার এই তিন জেলাতে ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় আপদকালীন ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সর্তকবার্তা অনুযায়ী ফণীর প্রভাব উত্তরবঙ্গে পড়ার কথা নয়। তবে শুক্রবার দুপুর থেকে পরিস্থিতি খানিকটা বদলাতে শুরু করে। ওড়িশা থেকে কলকাতার দিকে আসার সময়ে ফণী স্থলপথের বদলে সমুদ্রের উপর ভাগ বেছে নেয়। গ্রীষ্মকালে সমুদ্রের ওপর গরম বাতাসই থাকে। তারপে ফণীর গতিবেগ কিছুটা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। কলকাতায় আসার পরে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে ফণী বাংলাদেশে যাবে। সে সময়ও গতিবেগ বেশি থাকলে উত্তরবঙ্গেও যথেষ্ট প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে কথা জেনেই তৎপরতা শুরু হয় জেলা প্রশাসনগুলির।
শুক্রবার জেলার সব বিডিও-সহ পূর্ত, সেচ সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শিল্পা গৌরীসারিয়া। সেই বৈঠকেই ছুটি বাতিলের কথা বলা হয়। জেলার সব ব্লক অফিসেও আগামী সোমবার পর্যন্ত ছুটি বাতিল হয়েছে। পূর্ত, সেচ, দমকল, ত্রাণ পুনর্বাসনের মতো দফতরগুলির ছুটি বাতিল হয়েছে। কোচবিহারের জেলাশাসক কৌশিক সাহাও এ দিন আধিকারিকদের অনুমতি ছাড়া এলাকা না ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে ওই নির্দেশিকার কথা জানান কোচবিহারের জেলাশাসক কৌশিক সাহা। কোচবিহারে এ দিন সকাল থেকে দফায় দফায় হালকা বৃষ্টি হয়। কুচলিবাড়িতে ঝড় হয়। এই অবস্থার কথা চিন্তা করেই প্রশাসন আগাম মিটিং করে প্রস্তুতি নিয়েছে। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
আলিপুরদুয়ার জেলার প্রতিটি ব্লকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম৷ ফণী নিয়ে অযথা গুজব না ছাড়ানোরও আহ্বান জানিয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন৷ জেলাশাসক শুভাঞ্জন দাস বলেন, “উত্তরবঙ্গে ফণীর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কম৷ তবে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে৷” প্রশাসন সূত্রের খবর, ফণীর কথা মাথায় রেখে ত্রাণ সামগ্রীর জন্য রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত সাত লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে৷ ইতিমধ্যেই প্রতিটি ব্লকে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে৷ জেলা প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সমস্ত সরকার আধিকারিক ও কর্মীই এই মুহূর্তে জেলায় রয়েছেন৷ তাই প্রশাসনের তরফে আলাদা করে কোনও ছুটি বাতিলের নির্দেশ জারি করা হয়নি৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy