আগামী কাল, সোমবার থেকে ফের নিয়মিত বিমান চলাচল শুরু হতে চলেছে কোচবিহারে। প্রশাসন সূত্রের খবর, সোমবার বিকাল সাড়ে ৩ টা নাগাদ বিমান নামবে কোচবিহারে। আধ ঘণ্টার মাথায় ফের তা কলকাতার উদ্দেশে রওনা হবে। আপাতত সপ্তাহে চারদিন ওই বিমান চলাচল করবে। মঙ্গল, বুধ, শনি এবং রবিবার পিনাকল এয়ারলাইন্সের ৯ আসনের এই বিমান চলাচল করবে বলে জানানো হয়েছিল। যদিও সোমবার থেকেই বিমান চলাচল শুরু হচ্ছে।
বিমান বন্দরের উন্নয়নের জন্য ১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে পরিবহণ দফতর। ওই টাকা দিয়ে বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় দুটি ওয়াচ টাওয়ার তৈরি, পুলিশ কর্মীদের জন্য একটি ব্যারাক তৈরি, এবং বিমানবন্দরের ভিতরে রাস্তা এবং নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতি করা হবে।
কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন বলেন, “দু’দিনের মধ্যে নিয়মিত উড়ান চালু হবে। আমরা বেশ কিছু টাকা ইতিমধ্যে বরাদ্দ পেয়েছি। ওই টাকায় উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে। আরও টাকার প্রয়োজন হলে বরাদ্দ চাওয়া হবে।”
নিয়মিত উড়ান পরিষেবা চালুর পরে যাত্রী হবে কি না তা নিয়ে অবশ্য চিন্তায় রয়েছে জেলা প্রশাসন। অন্ডালে বিমান পরিষেবা চালু হলেও যাত্রী মিলছে না। কোচবিহারেও একই পরিস্থিতি হবে কি না তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা অবশ্য আশাবাদী, কোচবিহারে যাত্রী পাবে বিমান সংস্থা। তবে সরাসরি কলকাতা-কোচবিহার উড়ান চালু হলে যাত্রীদের সংখ্যা বাড়বে বলে তাঁদের দাবি।
প্রশাসন সূত্রের খবর, সপ্তাহ দুয়েক আগেই কোচবিহারে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিমান চলাচল শুরুর সময় বিমান সংস্থা পিনাকল এয়ারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়, কিছুদিনের মধ্যে নিয়মিত পরিষেবা চালু করবেন তাঁরা। প্রথমে সপ্তাহে চারদিন মঙ্গল, বুধ, শনি এবং রবিবার ৯ আসনের বিমান চলাচল চলবে। দুই মাস পরে উনিশ আসনের বিমান চালাবে তাঁরা। সে সময় সপ্তাহে সাতদিনই বিমান চলবে। দমদম-অন্ডাল-বাগডোগরা হয়ে বিমান কোচবিহারে পৌঁছবে।
হিসেব অনুযায়ী দমদম থেকে বিমান অন্ডাল পৌঁছতে সময় নেয় ৪০ মিনিট। সেখান থেকে বাগডোগরা প্রায় দেড় ঘণ্টা। বাগডোগরা কোচবিহার আধ ঘণ্টা সময় লাগবে।
সব মিলিয়ে কমপক্ষে তিন ঘণ্টা সময় লাগবে কোচবিহার পৌঁছতে। সরাসরি হলে তা এক ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা থেকে কোচবিহার পৌঁছবে। কেউ কলকাতা থেকে সরাসরি কোচবিহার যেতে চাইলে ভাড়া পড়বে ছয় হাজার টাকা। কোচবিহার থেকে বাগডোগরার ভাড়া পড়বে দেড় হাজার টাকা। বাগডোগরা থেকে অন্ডালের ভাড়া পড়বে আড়াই হাজার টাকা। অন্ডাল থেকে দমদমের ভাড়া পড়বে দেড় হাজার টাকা।
বিমান চলাচল শুরু হলেও, পরিকাঠামো নিয়ে বাসিন্দাদের বিস্তর ক্ষোভ রয়েছে। অভিযোগ, বিমানবন্দরের ভিতর এখনও অপরিচ্ছন্ন। রাস্তাগুলিও বেহাল। প্রশাসনের আশ্বাস, বিমান পরিষেবা চালু না হওয়াতেই পরিকাঠামোর উন্নতি হয়নি। এবার দ্রুত গতিতে উন্নয়নের কাজ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy