Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Crops

নষ্ট ফসল, পুজোর বাজার ফাঁকা গ্রামে

অনেকে জানান, এ বছর বর্ষায় ভুট্টা নষ্ট হয়। তাতে লাভের মুখ দেখতে পারেননি। লকডাউনে আনাজ ভিন্‌ রাজ্যে পাঠাতে না পেরে সে সব জলের দরে বিক্রি করতে হয়। এমনকি অনেক ফসল মাঠেও ফেলে দিতে হয়। তাতে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ডালখোলা শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২০ ০৪:৩৮
Share: Save:

মাঝে আর দিন কয়েক। তবু সে ভাবে জমেনি পুজোর বাজার। পসরা সাজিয়ে বিক্রেতারা বসে থাকলেও ক্রেতা মিলছে না। যাঁরা আসছেন, তাঁরাও বাজেট কমিয়েছেন। জেলার গ্রামীণ অনেক এলাকাতেই পুজোর বাজারের এমনই হাল। পরপর কয়েকটি ফসলের দাম না পেয়েই এমন পরিস্থিতি বলে দাবি বাসিন্দাদের অনেকের। তবে বিক্রেতাদের আশা, অতিবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা সরকারি ক্ষতিপূরণ পেলে বাজার খানিকটা চাঙ্গা হবে।

কৃষি অঞ্চলে পুজোর বাজার অনেকটাই নির্ভর করে ফসলের দামের উপরে। যে বার ভাল দাম মেলে, সে বার পুজোর বাজারে কেনাকাটার ধুম পড়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, এ বার পরিস্থিতি বেশ খারাপ। করোনা-আবহে সব কিছুতেই টান। তার মধ্যে একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত চাষিরা। তাঁদের অনেকে জানান, এ বছর বর্ষায় ভুট্টা নষ্ট হয়। তাতে লাভের মুখ দেখতে পারেননি। লকডাউনে আনাজ ভিন্‌ রাজ্যে পাঠাতে না পেরে সে সব জলের দরে বিক্রি করতে হয়। এমনকি অনেক ফসল মাঠেও ফেলে দিতে হয়। তাতে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল। এ বার আবার নিম্নচাপের অতিবৃষ্টিতে ক্ষতি হয়। হাজার-হাজার বিঘা কৃষিজমি জলে ডুবেছিল। নষ্ট হয় ধান, পাট, আনাজ। জল নামার পরে ফের খরচ করে জমি তৈরি করতে হয়। তাতে দেনাও হয়। এখনও অনেক জমিতে জল জমে। চাষিদের অনেকেই জানান, পুজোর আগে মাঠ থেকে পাট ওঠে। অনেকেই পাট বিক্রি করে পুজোর বাজার সারেন। কিন্তু এ বার বৃষ্টিতে করণদিঘি, ডালখোলা, চাকুলিয়া, গোয়ালপোখর, চোপড়া-সহ ইসলামপুর মহকুমার বেশির ভাগ জমির পাটও নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

ডালখোলা বাজারের পোশাক বিক্রেতা তারক দে বলেন, ‘‘লকডাউনেকাজ ছেড়ে অনেকেই বাড়ি চলে আসেন। ঝড়বৃষ্টিতে বাড়ি, জমির ক্ষতি হয় অনেকের। তাতে এলাকার অনেকের হাতেই এখন টাকা নেই। আমরা ধারেও জিনিস দিতে পারছি না। তাই বিক্রি খুব কম হচ্ছে।’’ করণদিঘির এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘পুজোর আগে প্রচুর জিনিস তুলেছিলাম। কিন্তু বিক্রি একদমই নেই।’’ ডালখোলা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রাজেশ গুপ্ত বলেন, ‘‘মানুষের হাতে টাকা নেই। বাজার মন্দা। আর কয়েক দিনের মধ্যে বাজারে স্বাভাবিক বেচাকেনা না হলে ব্যবসায়ীরা বিরাট লোকসানে পড়বেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crops Dalkhola
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE