শোকার্ত: ভেঙে পড়েছেন সুবোধের আত্মীয়রা। নিজস্ব চিত্র
আগামী ২১ ফেব্রয়ারি বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল সুবোধ বাইনের মেয়ে শিল্পীর। বেশ কিছু আত্মীয় পরিজনদের মধ্যে নিমন্ত্রণ পত্র দিয়েও দেওয়া হয়েছে। এখন সুবোধবাবুর মৃত্যুতে সেই বিয়ে হওয়া নিয়েই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
সুবোধবাবুর তৃতীয় মেয়ে শিল্পীর বিয়ে ঠিক হয়েছে শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে আমবাড়ির বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে। সুবোধবাবু স্থানীয় ডেকোরেটর, কেটারারের সঙ্গে কথাও বলে রেখেছিলেন। কিন্তু এখন কী ভাবে কী করবেন, তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সুবোধবাবুর স্ত্রী নীরাদেবী। স্বামীর মৃত্যু নিয়ে বৃহস্পতিবারও বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তিনি। মঙ্গলবারের রাতে তাঁর চোখের সামনে স্বামীকে হত্যা করা হয়। সেই দৃশ্য বারবার ভেসে উঠছে মনে।
সুবোধবাবুর স্ত্রী জানালেন, ছেলের বাড়ির কাছে অনুরোধ করা হয়েছে, বিয়েটা কিছু দিন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্ত ছেলের পরিবারও প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। সুবোধবাবুর পরিবারের লোকেরা জানান, যদি শেষ পর্যন্ত ছেলের পরিবার খুবই অসুবিধায় পড়েন, তা হলে পাশের বাড়ি থেকে বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
পরিবার সূত্রে খবর, মেয়ের বিয়ের জন্য মঙ্গলবার দুপুরে সুবোধবাবু গ্রাম পঞ্চায়েতে রূপশ্রী প্রকল্পের জন্য আবেদন করেন। তারপরে রাতেই তাঁকে খুন করা হয়।
সুবোধবাবুর চার মেয়ে। দুই মেয়ের আগে বিয়ে দিয়েছেন। ছোট মেয়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। এই অবস্থায় সংসার কী করে চলবে, তা নিয়েও চিন্তায় নীরাদেবী। এই পরিবারের মতোই গোটা গ্রাম ক্ষোভে ফুঁসছে। প্রতিবেশী রতন বিশ্বাস বলেন, ‘‘যা ঘটে গেল ভাবতে পারছি না। মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে কম খরচের মধ্যে ভাল কী মেনু হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। এখন তিনিই চলে গেলেন। ওই পরিবারের কী করে চলবে?’’
বিয়ের অনুষ্ঠানে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূলের নেতারা। পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী গোলাম রব্বানি। এদিন শিল্পী বলেন, ‘‘প্রত্যেকের বাবার ইচ্ছা থাকে মেয়েকে কন্যাদান করার। বাবার আশীর্বাদ সব মেয়ে কামনা করে। আমার ভাগ্যটা খারাপ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy