E-Paper

খাঁচাবন্দি চিতাবাঘ, আতঙ্ক কাটেনি বাগানে

বন দফতরের কার্শিয়াং ডিভিশনের এডিএফও রাহুলদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখন চিতাবাঘের বাচ্চা দেওয়া সময়। চা বাগানগুলিকে নিরাপদ ভাবে তারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৫ ০৮:২১
খাঁচাবন্দি চিতাবাঘ। শিলিগুড়ির মতিধর চা বাগানে। 

খাঁচাবন্দি চিতাবাঘ। শিলিগুড়ির মতিধর চা বাগানে।  নিজস্ব চিত্র।

বাগানে খাঁচাবন্দি হয়েছে একটি চিতাবাঘ। কিন্তু শিলিগুড়ির বিধাননগর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মতিধর চা বাগানে আতঙ্ক কাটেনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের আশঙ্কা, আরও চিতাবাঘ রয়েছে সেই চা বাগানে। ভয় বেড়েছে রবিবার বন দফতরের তরফে মাইকে প্রচারেও। এলাকায় ছোটদের একা বাইরে বার যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বড়দেরও দল বেঁধে বার হতে বলা হয়েছে। সুনসান চা বাগানের রাস্তায় বেশিক্ষণ না থাকতেও বলেছে দফতর।

বন দফতরের কার্শিয়াং ডিভিশনের এডিএফও রাহুলদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখন চিতাবাঘের বাচ্চা দেওয়া সময়। চা বাগানগুলিকে নিরাপদ ভাবে তারা। কিন্তু এই সময়ে বাগানে পুরুষ চিতাবাঘেদেরও আনাগোনা বাড়ে। তাই দফতরের তরফে প্রচার করা হচ্ছে।’’

মতিধর বাগানে চা পাতা তোলার সময় সপ্তাহখানেক আগে এক মহিলা শ্রমিক চিতাবাঘের হামলায় জখম হয়েছিলেন। বন দফতরের তরফে গত বুধবার খাঁচা পাতা হয়েছিল। রবিবার সেই খাঁচায় চিতাবাঘ ধরা পড়ে। কিন্তু তার পরেও বাগানে কাজে যেতে ভয় পাচ্ছেন শ্রমিকদের অনেকে। বাগানের ম্যানেজার জানিয়েছেন, কাজে যাওয়ার আগে বাগানে পটকা ফাটানো হচ্ছে। তার পরে কাজে পাঠানো হচ্ছে শ্রমিকদের।

বন দফতর সূত্রে খবর, এ দিন খাঁচায় ধরা পড়া চিতাবাঘটি পুরুষ, চার-পাঁচ বছর বয়স। খাঁচাবন্দি হওয়ার পরে সেটিকে দেখতে ভিড় জমে এলাকার মানুষের। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে চিতাবাঘটিকে বাগডোগরার জঙ্গলে ছাড়া হয়।

এ দিনই হাঁসখোয়া চা বাগানের নালায় চিতাবাঘের তিনটি শাবকের খোঁজ মিলেছে। বন দফতরকে খবর দিলে কর্মীরা শাবকগুলিকে ঘিরে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছেন। বনকর্মীরা জানিয়েছেন, মা তার শাবকগুলি নিরাপদে রাখতে জায়গা পাল্টাতে পারে। যতক্ষণ হাঁসখোয়ায় ওই চিতাবাঘের শাবকগুলি থাকবে, সেখানে নজরদারি চলবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Siliguri

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy