Advertisement
১৯ মে ২০২৪

রেঞ্জারের বদলি নিয়ে দ্বিমত বন দফতরের মধ্যেই

সাপের বিষ পাচার-কাণ্ডে জলদাপাড়ার রেঞ্জ অফিসারকে বদলি করা হলেও এখনই তাঁকে দোষী বলে মানতে নারাজ বন দফতর৷ বরং ওই অফিসারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা কতটা রয়েছে তা নিয়ে বনমন্ত্রীর নির্দেশে তদন্ত শুরু করলেন দফতরের কর্তারা৷

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৫৫
Share: Save:

সাপের বিষ পাচার-কাণ্ডে জলদাপাড়ার রেঞ্জ অফিসারকে বদলি করা হলেও এখনই তাঁকে দোষী বলে মানতে নারাজ বন দফতর৷ বরং ওই অফিসারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা কতটা রয়েছে তা নিয়ে বনমন্ত্রীর নির্দেশে তদন্ত শুরু করলেন দফতরের কর্তারা৷ এ ব্যাপারে তদন্ত করে খুব শীঘ্রই একটি রিপোর্ট তাঁর কাছে জমা দিতে দফতরের কর্তাদের নির্দেশও দিয়েছেন বনমন্ত্রী ৷

সম্প্রতি ফুলবাড়ি এলাকা থেকে প্রায় দুশো কোটি টাকার সাপের বিষ উদ্ধার করেন বৈকুণ্ঠপুর বিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জের অফিসার সঞ্জয় দত্ত৷ ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতারও করা হয়৷ কিন্তু সম্প্রতি এক ব্যক্তি শিলিগুড়ি থানায় জলদাপাড়ার রেঞ্জার স্বপন মাঝির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন৷ তাঁর অভিযোগ, চক্রটি শিলিগুড়িতে এলে তিনি স্বপনবাবুকে প্রথম খবর দেন৷ কিন্তু স্বপনবাবু চক্রটিকে ধরতে দেরি করতে থাকেন৷ সেই সময় কোনও ভাবে সঞ্জয়বাবুর কাছে খবরটি পৌঁছে যায় এবং অভিযান চালিয়ে তিনি চক্রটিকে ধরে ফেলেন৷ ওই ব্যক্তির অভিযোগ ছিল, তারপর থেকেই স্বপনবাবু তাকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে চলছিলেন ৷

বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হতেই শুক্রবার স্বপনবাবুকে জলদাপাড়া থেকে শিলিগুড়িতে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি করা হয়৷ এ নিয়ে বন দফতরের অন্দরেও হইচই শুরু হয়৷ জানা গিয়েছে, এই ঘটনাতেও দ্বিধাবিভক্ত বন দফতরের কর্মী-আধিকারিকদের অনেকেই৷ তাদের একাংশ যেমন স্বপনবাবুর বদলিতে খুশি, তেমনি অনেকে আবার ক্ষুব্ধও৷ তবে বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন এদিন বলেন, “কেউ কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতেই পারেন৷ তার মানেই যে সে দোষী সেটা কিন্তু ধরে নেওয়া ঠিক নয়৷ সে জন্যই গোটা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখতে দফতরের আধিকারিকদের বলেছি৷ আমি এখন নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত৷ নির্বাচন পর্ব মিটে যাওয়ার পর কলকাতায় পৌঁছলে অফিসারদের রিপোর্ট দিতে বলেছি৷”

তবে বনমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগেই কেন এক অফিসারকে এ ভাবে বদলি করা হল? এর উত্তরে বনমন্ত্রী অবশ্য বলেন, ‘‘দুজন আধিকারিক এক জায়গায় নিজেদের মানিয়ে নিতে পারছিলেন না বলেই এই বদলি৷’’ পিসিসিএফ প্রদীপ শুক্লও এ দিন বলেন, ‘‘এটা একটা রুটিন বদলি৷’’ তবে বিষয়টি নিয়ে স্বপনবাবুর সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি ৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Forest renger conflict
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE