আউটডোরে চিকিৎসা করানোর পরে আল্ট্রা সোনোগ্রাফির তারিখ পাওয়া যাচ্ছে প্রায় সাড়ে তিন মাস পর। রক্ত পরীক্ষা বা এক্স রে রিপোর্ট মিলতে মিলতে সাত আট দিন। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ওঠা একের পর এক অব্যবস্থার অভিযোগ নিয়ে শুক্রবার ক্ষোভ উগড়ে দেন জেলাশাসাক রচনা ভগত।
এ দিন হাসপাতালে প্রসূতি মায়েদের জন্য ওয়েলকাম কিটস প্রকল্প চালু করতে গিয়ে তিনি জানান, স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের একটি রিপোর্ট তৈরি করতে বলেছেন তিনি। ‘‘সেই রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছি৷ এ ধরনের ঘটনা সরকারি হাসপাতালে বরদাস্ত করা হবে না’’, বলেন জেলাশাসক। সিএমওএইচ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘এই প্রবণতা বন্ধ করতে হাসপাতালের সর্বত্র নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷’’
জেলা হাসপাতাল হওয়ায় প্রতিদিনই কয়েক হাজার রোগী এখানে চিকিৎসা করাতে আসেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি থাকলেও রোগীর অনুপাতে কর্মীর সংখ্যা যথেষ্ট নয়। এ ধরনের অব্যবস্থা রুখতে জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের নিজের দফতরে আলোচনার জন্য ডেকেছেন তিনি৷
এ দিন চালু করা প্রকল্প নিয়ে জেলাশাসক জানান, প্রতিদিন জলপাইগুড়ি হাসপাতাল-সহ জেলার ষোলোটি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তির সময় প্রসূতিদের ওয়েলকাম কিটস তুলে দেওয়া হবে৷ তার ভেতরে টুথ ব্রাশ, টুথ পেস্ট, চামচ, গ্ল্যাস, সাবান ও চিরুনি থাকবে৷ পরে প্রসূতি মায়েদের ছুটির সময় তাঁদের হাতে ফেয়ারওয়েল কিটস তুলে দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের। তাতে শিশুর জন্মের শংসাপত্র ও এক হাজার টাকার চেকের পাশাপাশি নবজাতক শিশুর ব্যাবহারের জন্য তোয়ালে, সাবান, ক্রিম ও মশারি থাকবে৷ এর ফলে সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রসবের হার বাড়ানোও সম্ভব হবে বলে মনে করেন প্রশাসনের কর্তারা৷
হাসপাতাল থেকে বেরনোর মুখে জরুরি বিভাগের পাশে জমে থাকা নোংরা জল দেখেও এ দিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন জেলাশাসক৷ হাসপাতালের কর্তারা তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, “ম্যাডাম এটা নোংরা জল নয়৷” তার উত্তরে তিনি তাঁদের বলেন, “এর থেকেও নোংরা জল হয় কি? ভেরি ব্যাড৷” এমন চলতে থাকলে দায়িত্বে থাকা কর্মচারীদেরও ছেড়ে দেওয়া হবে না বলে সতর্ক করে যান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy