শিলিগুড়ি হিন্দি হাই স্কুলের সমস্যা খতিয়ে দেখে দুই সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে শিক্ষা দফতরের তরফে নির্দেশ দেওয়া হল। বুধবার শিলিগুড়ি স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক)-এর দফতরে ওই নির্দেশ এসে পৌঁছেছে। তাতে ৫ জন সদস্যর একটি কমিটিকে ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দার্জিলিংয়ের অতিরিক্ত জেলাশাসক ওই কমিটির চেয়ারম্যান।
বাকিদের মধ্যে রয়েছেন উত্তরকন্যায় কর্মরত স্কুল শিক্ষা দফতরের ডেপুটি ডাইরেক্টর অনিরুদ্ধ গঙ্গোপাধ্যার, অ্যাকাউন্টস বিভাগের জয়েন্ট ডিরেক্টর, শিলিগুড়ির স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক), অ্যাকাউন্ট বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর কেসান তামাং। তবে এর আগে জানানো হয়েছিল ৩ সদস্যর কমিটি ৮ এপ্রিল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসবেন। পরিবর্তে এ দিন ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করে দুই সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট চাওযা হয়েছে।
শিলিগুড়ি হিন্দি হাইস্কুলটি ভাষাগত সংখ্যালঘুদের বলে দাবি করে পরিচালন কমিটি। অভিভাবক এবং স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকাদের অধিকাংশ এর বিরুদ্ধে। তা নিয়েই সমস্যা তৈরি হয়েছে।
এক সদস্যের পরিচালন সমিতি স্কুলের ফি বাড়িয়ে নেওয়া চেষ্টা করলে প্রতিবাদ জানায় অভিভাবকরা। তা নিয়ে এ বছর পঞ্চম এবং ষষ্ঠ শ্রেণিতে ছাত্র ভর্তি হয়নি বলে অভিযোগ। স্কুলের দুই শিক্ষককে পরিচালন সমিতি তরফে চাকরি থেকে বরখাস্ত-ও করা হয়। অভিযোগ ওঠে মিড ডে মিল নিয়মিত না দেওয়া নিয়েও। প্রতিবাদে শিক্ষকেরা আন্দোলনে নামে। স্কুলে নতুন শিক্ষাবর্ষে ছাত্রদের বই না দেওয়ায় সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
সমস্যা সমাধানের দাবিতে, ছাত্ররা রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনেও নামে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মবিরতি করে ধর্না অবস্থান শুরু করে স্কুলের শিক্ষকেরা। তাতে গত দুই মাস ধরে অচল হয়ে পড়েছে স্কুলের পড়াশোনা। স্কুলের পরিচালন কমিটির দাবির বিরুদ্ধে অভিভাবক মঞ্চের তরফে মামলাও হয়েছে। সেই মামলা চলছে।
স্কুল পরিচালন কমিটির একমাত্র সদস্য ভগবতী প্রসাদ ডালমিয়া। তাঁর ছেলে সীতারাম ডালমিয়া স্কুলটি যে সোসাইটির অধীনে বলে দাবি করেন তার সদস্য। তিনি জানান, স্কুলটি ভাষাগত ভাবে সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। আদালত যে ভাবে নির্দেশ দেবে সেই মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তা ছাড়া শিক্ষক, অভিভাবকদের একাংশ মিলেই স্কুল চালাতে সমস্যা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ দিকে আন্দোলনরত শিক্ষকদের বেতন বন্ধ হয়ে পেছে বলে তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, স্কুলে পড়াশোনার পরিবেশ নেই। সে কারণেই তাঁরা আন্দোলন করছেন। ছাত্রদের সুবিধার জন্যা তার মধ্যেই একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার জন্যা তারা কাজ করেছেন।
অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক সন্দীপন ভট্টাচার্যর দাবি, শহরের মধ্যে স্কুলের জায়গার দাম প্রচুর। স্কুলটি তুলে দিয়ে তা প্রমোটারকে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। সংখ্যালঘু স্কুল দাবি করলেও পরিচালন কমিটির কাছে উপযুক্ত নথি নেই। সমস্যার কথা শিক্ষা দফতরে বারবার জানানো হয়েছে। স্কুল পরিদর্শক প্রাণ গোবিন্দ সরকার বলেন, ‘‘দুই সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা দফতর বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান বিস্তারিত জানালে সেই মতো পরিদর্শনে যাওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy