Advertisement
E-Paper

কোচবিহারে কেকের লড়াই

কোচবিহারে প্রতিষ্ঠিত স্থানীয় বেকারির তৈরি কেক এমনিতে প্রায় সারা বছরই দোকানে দোকানে খুচরো বিক্রি হয়। নামী কোম্পানির প্যাকেটজাত কেকের বাজারও যথেষ্ট ভাল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৫৮
ভিড়: বড়দিনের বাজারে ভিড় কোচবিহারে। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব

ভিড়: বড়দিনের বাজারে ভিড় কোচবিহারে। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব

বড়দিনের মুখে এগলেস কেকের চাহিদা বেড়েছে কোচবিহারে। বাজার ধরতে স্থানীয় বেকারি থেকে নামী কোম্পানির কেক বিক্রির দোকান সকলেই তাই ডিম ছাড়া কেকের যোগান বাড়িয়েছেন। দুই তরফেরই দাবি, ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় তাদের তৈরি কেক এক নম্বরে। সবমিলিয়ে ২৫ ডিসেম্বর যত এগিয়ে আসছে ততই জমে উঠছে কেক যুদ্ধ!

কোচবিহারে প্রতিষ্ঠিত স্থানীয় বেকারির তৈরি কেক এমনিতে প্রায় সারা বছরই দোকানে দোকানে খুচরো বিক্রি হয়। নামী কোম্পানির প্যাকেটজাত কেকের বাজারও যথেষ্ট ভাল। বড়দিনের মরসুমে ওই চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এ বারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বেকারিগুলিতে অর্ডার বেড়েছে। নামী কোম্পানির দোকানগুলিতেও খুচরো বিক্রেতারা অর্ডার বাড়িয়েছেন। অন্য বারের তুলনায় এ বছর ডিম ছাড়া তৈরি কেকের চাহিদা বেড়েছে উভয় ক্ষেত্রেই। কোচবিহার স্টেশন মোড় এলাকার এক ব্যবসায়ী বাবুল সরকার বলেন, “গতবছর তিনশো ডিমছাড়া তৈরি কেক তুলেছিলাম। পরের দিকে অনেককে ফিরিয়ে দিতে হয়েছে। এ বার এগলেস ও ডিম কেকের সমান সমান বিক্রি চলছে। তাই এগলেস কেকের অর্ডার বাড়াতে হয়েছে।’’

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তাঁদের তালিকায় ক্রিম কেক, ড্রাই কেক, বাটার ফ্রুট কেক, ফ্রুট কেক, চকো ক্রিম কেক, চকো চেরি কেক যেমন আছে, তেমনই রয়েছে স্পেশাল ফ্রুট কেক। বাজারে রয়েছে স্পঞ্জ কেক, পেস্ট্রি কেক, ডেকোরেটেড নানা কেকও। কোচবিহারের একটি নামী কোম্পানির বিক্রেতাদের একজন অঞ্জনকুমার বণিক বলেন, “ডিম অনেকেই খাননা। তাই এগলেস কেকের চাহিদা বেড়েছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানে অন্য কেকের সঙ্গে সেটা পর্যাপ্ত আছে।” আরেকটি বেকারির মালিক রাম কুণ্ডু বললেন, “ডিম ছাড়া রকমারি কেক আমরাও তৈরি করেছি। চারকোনা, ত্রিভুজ, বৃত্তাকার নানা আকারের কেক হচ্ছে। ক্রেতাদের পছন্দ হবেই।”

কেকপ্রেমীরা কী বলছেন? লেখক নৃপেন পাল বলেন, “ডিম খাইনা। বড়দিনে তাই এগলেস কেক খাব।” এক আধিকারিক দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, “স্থানীয় বেকারিতে তৈরি কেক আমার প্রিয়। ডিমছাড়া, ডিমযুক্ত সবটাই চলবে।” সুনীতি অ্যকাডেমির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মণিদীপা নন্দী ( বিশ্বাস) জানান, ছোটদের জন্য ডিমযুক্ত, নিজের জন্য এগলেস কেকই তাঁর পছন্দ।

ক্রেতা ধরার লড়াইতে হাল ছাড়তে রাজী নন দামি থেকে অপেক্ষাকৃত কমদামি কেকের বিক্রেতারাও। নামী কোম্পানির এক বিক্রেতার মন্তব্য, ‘‘ক্রেতারা ব্র্যান্ড গুরুত্ব দেন। তাই আমরাই বাজিমাত করব।” এক সাবেক বেকারি মালিকের পাল্টা দাবি, ‘কম দাম, আলাদা স্বাদে আমাদের কেকই বেশি বিকোবে।’ শেষ হাসি কার সেটাই দেখার।

Cooch Behar Cake Christmas
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy