Advertisement
১১ মে ২০২৪
jalpaiguri

Dooars: টানা বৃষ্টিতে ভাঙছে পাড়, মাল নদীর গ্রাসে রাস্তা, জল ঢুকল শহরেও

জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি, ভরা বর্ষায় সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে নদী থেকে পাথর তুলতে গিয়েই বিপত্তি ঘটেছে।

মাল নদীর গ্রাসে রাস্তা।

মাল নদীর গ্রাসে রাস্তা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২১ ২২:১৭
Share: Save:

দার্জিলিং এবং সিকিম পাহাড়ে ফের অবিরাম বৃষ্টির জেরে জল বাড়ল ডুয়ার্সের একাধিক নদীতে। বৃহস্পতিবার মাল নদীর জলস্ফীতির গ্রাসে চলে গিয়েছে বেশ কিছু এলাকা। নদীর মাঝে আটকে পড়েছে লরি। জল ঢুকেছে মালবাজার শহরেও। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি, ভরা বর্ষায় সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে নদী থেকে পাথর তুলতে গিয়েই বিপত্তি ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার দিনভর দফায় দফায় প্রবল বৃষ্টির জেরে মাল শহরে নদীর জলস্রোত চলে আসায় আতঙ্ক বাড়ছে। শহরের অন্দরে রেলওয়ে আন্ডারপাস-সহ বেশ কিছু এলাকায় জল জমে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বেশ কিছু বাড়িতেও ঢুকে পড়েছে জল। প্রশাসন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা রবি রায় বলেন, ‘‘প্রবল বৃষ্টিতে নদীর জল ফুলে-ফেঁপে ওঠে । দুপুরে নদীর জল শহরে ঢুকেছে। আমাদের শৌচাগার-সহ বাড়ির অনেকটাই অংশ কার্যত নদীতে বিলীন হয়ে গিয়েছে। বৃষ্টি ভেজা রাতে আমরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। আমরা চাই নদীর ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’’ প্রবল বৃষ্টিতে মালবাজারের রেলওয়ে ময়দানের পাশে আন্ডারপাসে জল জমেও সমস্যা দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দা তথা মাছ ব্যবসায়ী সোনা ভূজেল নিজে স্বেচ্ছাশ্রম দান করে আন্ডারপাসের নালায় জমে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার করেন । এতে সমস্যা কিছুটা কমেছে।

মাল পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন স্বপন সাহা বলেন, ‘‘আমরা সব ক্ষেত্রেই যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করছি।’’ অন্যদিকে, দার্জিলিং এবং সিকিম পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টির জেরে সিকিম থেকে শিলিগুড়ির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে বলেই খবর। প্রশাসন সূত্রের খবর, সিংটাম চা বাগানের কাছে ধস নেমেছে বেশ কিছু এলাকা জুড়ে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE