আলুর বন্ড বন্টনের প্রক্রিয়ায় এ বার যুক্ত করা হচ্ছে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানদের৷ জলপাইগুড়ি সদর মহকুমার বিভিন্ন হিমঘরে আলুর বন্ড বিলি নিয়ে শুরু হওয়া গোলমাল এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে প্রশাসন সূত্রের খবর৷
এ দিন সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দফতরে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ তবে এই ব্যবস্থা শুধুমাত্র জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের হিমঘরগুলিতেই চালু হবে বলে প্রশাসন সূত্রের জানা গিয়েছে৷
গত শনিবার থেকে জলপাইগুড়ির বিভিন্ন হিমঘরে আলুর বন্ড বিলি শুরু হয়েছে৷ কিন্তু শুরুর দিন থেকে বেশ কিছু হিমঘরে বন্ড বিলি নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়৷ মূলত কৃষকরা তাদের চাহিদা মত বন্ড না পাওয়াতেই এই সমস্যা বলে প্রশাসন সূত্রের খবর৷
ওই সমস্যা সমাধানে এ দিন বৈঠকে বসেন প্রশাসনের কর্তারা৷ বৈঠকে অতিরিক্ত জেলাশাসক ছাড়াও, জলপাইগুড়ি সদরের বিডিও, কৃষি বিপণন দফতর ও কৃষি দফতরের আধিকারিকরা এবং সদর ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন৷
প্রশাসন সূত্রের খবর, বৈঠকে ঠিক হয়েছে, একটি হিমঘরের ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী কোন গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে কত পরিমাণ আলু সেই হিমঘরে যাবে তা আগে ঠিক হবে৷ এই ক্ষেত্রে সেই গ্রাম পঞ্চায়েতে কত পরিমাণ আলু উৎপাদন হয়েছে তা প্রথমে দেখা হবে৷ এরপর সেই গ্রাম পঞ্চায়েতের কোন কৃষক কত পরিমাণ আলু হিমঘরে রাখবেন তা প্রধানরা সুপারিশ করবেন৷
এক্ষেত্রেও সেই কৃষক কতটা আলু উৎপাদন করেছেন তার ওপরই প্রধানের সুপারিশ হবে৷ এরপর প্রধানদের সুপারিশ খতিয়ে দেখবেন কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক এবং তার ভিত্তিতেই কৃষকদের বন্ড দেওয়া হবে৷
জেলা কৃষি বিপণন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, এই প্রক্রিয়া শুধুমাত্র জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের হিমঘরগুলির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে৷ এবং গোটা প্রক্রিয়া চালুর জন্য কিছুটা সময় দরকার। তাই এই ব্লকের হিমঘরগুলিতে মঙ্গলবার আলুর বন্ড বিলি বন্ধও থাকতে পারে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে৷
এ দিনও ৭৩ মোড়ের দু’টি হিমঘরে আলুর বন্ড বিলি নিয়ে বিক্ষোভ হয়৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেন তারা। প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়।