দুশ্চিন্তা: বন্ড নেই, বিক্রিও নেই। চিন্তায় চাষিরা। ছবি: রাজকুমার মোদক
আলুর বন্ড বন্টনের প্রক্রিয়ায় এ বার যুক্ত করা হচ্ছে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানদের৷ জলপাইগুড়ি সদর মহকুমার বিভিন্ন হিমঘরে আলুর বন্ড বিলি নিয়ে শুরু হওয়া গোলমাল এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে প্রশাসন সূত্রের খবর৷
এ দিন সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দফতরে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ তবে এই ব্যবস্থা শুধুমাত্র জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের হিমঘরগুলিতেই চালু হবে বলে প্রশাসন সূত্রের জানা গিয়েছে৷
গত শনিবার থেকে জলপাইগুড়ির বিভিন্ন হিমঘরে আলুর বন্ড বিলি শুরু হয়েছে৷ কিন্তু শুরুর দিন থেকে বেশ কিছু হিমঘরে বন্ড বিলি নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়৷ মূলত কৃষকরা তাদের চাহিদা মত বন্ড না পাওয়াতেই এই সমস্যা বলে প্রশাসন সূত্রের খবর৷
ওই সমস্যা সমাধানে এ দিন বৈঠকে বসেন প্রশাসনের কর্তারা৷ বৈঠকে অতিরিক্ত জেলাশাসক ছাড়াও, জলপাইগুড়ি সদরের বিডিও, কৃষি বিপণন দফতর ও কৃষি দফতরের আধিকারিকরা এবং সদর ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন৷
প্রশাসন সূত্রের খবর, বৈঠকে ঠিক হয়েছে, একটি হিমঘরের ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী কোন গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে কত পরিমাণ আলু সেই হিমঘরে যাবে তা আগে ঠিক হবে৷ এই ক্ষেত্রে সেই গ্রাম পঞ্চায়েতে কত পরিমাণ আলু উৎপাদন হয়েছে তা প্রথমে দেখা হবে৷ এরপর সেই গ্রাম পঞ্চায়েতের কোন কৃষক কত পরিমাণ আলু হিমঘরে রাখবেন তা প্রধানরা সুপারিশ করবেন৷
এক্ষেত্রেও সেই কৃষক কতটা আলু উৎপাদন করেছেন তার ওপরই প্রধানের সুপারিশ হবে৷ এরপর প্রধানদের সুপারিশ খতিয়ে দেখবেন কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক এবং তার ভিত্তিতেই কৃষকদের বন্ড দেওয়া হবে৷
জেলা কৃষি বিপণন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, এই প্রক্রিয়া শুধুমাত্র জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের হিমঘরগুলির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে৷ এবং গোটা প্রক্রিয়া চালুর জন্য কিছুটা সময় দরকার। তাই এই ব্লকের হিমঘরগুলিতে মঙ্গলবার আলুর বন্ড বিলি বন্ধও থাকতে পারে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে৷
এ দিনও ৭৩ মোড়ের দু’টি হিমঘরে আলুর বন্ড বিলি নিয়ে বিক্ষোভ হয়৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেন তারা। প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy