E-Paper

বৃষ্টিতে স্বস্তি দু’জেলায়, খুশি কৃষকেরা

সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারে এ বছর যথেষ্ট ভাল পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঘাটতি তো নেই-ই, বরং গত তিন বছরের তুলনায় জুলাই মাস পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারে একটু বেশিই বৃষ্টি হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২৪ ০৯:৪০
মেখলিগঞ্জের কাছে তিস্তা নদীতে বেড়েছে জল।

মেখলিগঞ্জের কাছে তিস্তা নদীতে বেড়েছে জল। নিজস্ব চিত্র

দিন কয়েক তীব্র গরমের পরে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। গত দু’দিন ধারাবাহিক ভাবে দিনভর বৃষ্টি হয়েছে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে। বৃষ্টির পরিমাণ খুব বেশি না হলেও তাপমাত্রা অনেকটাই নেমে এসেছে এর ফলে। উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ মৌসম সেবা কেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন পর্যন্ত এই মরসুমে ২,৩৭৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত পাঁচ বছরের হিসেবে অনুযায়ী চলতি মরসুমের নব্বই শতাংশ বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ মৌসম সেবা কেন্দ্রের নোডাল অফিসার শুভেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী ৮ অগস্ট পর্যন্ত কোচবিহার-সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোনও নদীতে প্লাবনের আশঙ্কা নেই।

সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারে এ বছর যথেষ্ট ভাল পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঘাটতি তো নেই-ই, বরং গত তিন বছরের তুলনায় জুলাই মাস পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারে একটু বেশিই বৃষ্টি হয়েছে। সেচ দফতর সূত্রের খবর, প্রতি বছর আলিপুরদুয়ারে গড়ে চার হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এ বছর জানুয়ারি মাস থেকে এ দিন, অর্থাৎ শনিবার সকাল পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টি হয়েছে ৩,৬৪৩ মিলিমিটার। আলিপুরদুয়ারে সব চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় গত ১৬ জুন। সে দিন জেলায় ২৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল বলে সেচ দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন। এ দিকে, হলদিবাড়ি সংলগ্ন তিস্তায় বৃষ্টির জেরে জল বেড়েছে। সেচ দফতর জানিয়েছে, গজলডোবায় তিস্তার বাঁধ থেকে ১,৪৬৮ কিউমেক জল ছাড়া হয়েছে। গোটা বিষয়টির উপরে নজর রাখছে তারা।

সূত্রের খবর, এ বারের টানা বৃষ্টিতে শিসামারা নদীর বাধের ক্ষতি হয়। ওই নদী-সহ কিছু নদীতে ভাঙনও দেখা দেয়। কিছু জায়গায় বাধের মধ্যে আবার ‘রেনকাট’ হয়। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সব জায়গায় রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য জেলা প্রায় এক কোটি টাকা পেয়েছে। তাতে ২৩টি জায়গায় এই কাজ হবে। তবে কৃষি দফতরের আধিকারিকদের দাবি, টানা বৃষ্টিতে জেলায় কৃষি জমির সে অর্থে ক্ষতি হয়নি। বরং, উপকারই হয়েছে। দিনহাটার পুটিমারি এলাকার কৃষক উজ্জ্বল বর্মণ বলেন, ‘‘আমন ধানের এই মরসুমে এক টানা প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে বৃষ্টি না হওয়ায়, চাষের ব্যাপক ক্ষতি শুরু হয়েছিল। অবশেষে বৃষ্টিতে কিছুটা হলেও
রক্ষা পাবে আমন ধান। আগামী কয়েক দিন এ ভাবে বৃষ্টি হলে চাষের ক্ষেত্রে ভাল হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Alipurduar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy