নিজস্ব চিত্র
শিলিগুড়ি শহরের মূল রাস্তায় টোটো ওঠার ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ আরোপ করতে চাইছে পুলিশ। শহরের মূল রাস্তাগুলি বাদ দিয়ে টোটো চলার কথা শহরের গলিপথে। কিন্তু রাতের শহর ক্রমশ ভয়ের হয়ে উঠছে, এমনটাই অভিযোগ মহিলা টোটো চালকদের। রাত আটটা-সাড়ে সাড়ে আটটার পর আর গলিতে টোটো নিয়ে ঢুকতে চাইছেন না তাঁদের অনেকেই। সম্প্রতি একটি সচেতনতা অনুষ্ঠানে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে এরকমই জানা গিয়েছে।
আশিঘর এলাকার মহিলা টোটোচালক মনা দাস প্রায় দু’বছর হল টোটো চালাচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘‘স্বামী সেরকম কিছু করে না। ঘরের সব কাজ সেরে টোটো চালাই। কিন্তু রাত ৮টার পরে আর গলিপথে ঢোকা যায় না। মদ্যপদের দাপটের জন্য।’’
সম্প্রতি শহরে কয়েকটি টোটো ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। যদিও পুলিশের কাছে তা নিয়ে সেরকম বড় কোনও অভিযোগ আসেনি। তবে টোটোর রুট বদলে গলিপথে টোট চলাচল করার কথা বললে মহিলা চালকদের একটি বড় অংশের কাছেই তা বেশ সমস্যার হয়ে দাঁড়াবে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন টোটোর মহিলা যাত্রীদের একটি অংশ।
পূর্ব বিবেকানন্দ পল্লির বাসিন্দা অর্পিতা সিংহও নিজের ছেলের পড়াশোনা ও সংসার টানতে টোটো চালাচ্ছেন প্রায় ৪ মাস হল। তিনিও জানিয়েছেন, কাজকর্ম সেরে শহরে টোটো চালিয়ে কিছুটা আয় হয়। কিন্তু রাত হয়ে গেলে শহরের গলিপথে ঢোকার ক্ষেত্রে তাঁরও ভয় করে। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূজা দত্ত, ২ নম্বর ওয়ার্ডের অম্বিকানগরের বর্ষা বর্মনদেরও একই অভিযোগ। পরিবারের আর্থিক সঙ্গতি বজায় রাখতে টোটো নিয়ে বের হতে হচ্ছে তাঁদের। কিন্তু একটু বেশি রাত পর্যন্ত টোটো চালাতে গেলে নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা কাজ করছে তাঁদের মধ্যে।
শিলিগুড়ি শহরে এখন ৬০ থেকে ৬৫ জন মহিলা টোটো চালিয়ে জীবনধারণ করছেন। কিন্তু তাঁদের নিরাপত্তা যে একটা বড় প্রশ্নের মুখে, তা উঠে এসেছে ওই চালকদের কথাতেই। শহরে মহিলা টোটো চালকদের উপর কোনওরকম আক্রমণের ঘটনা এখনও সেরকমভাবে ঘটেনি। কিন্তু রাতের শহরে সমাজবিরোধী বা মদ্যপদের দাপট না সামলালে নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা যে কমবে না তা মানছেন পুলিশকর্মীদের একটি বড় অংশ।
ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি টোটো চালক সংগঠনের নেতা বাবলা পালচৌধুরী অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন, মহিলা টোটো চালকদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তাঁর কথায়, ‘‘প্রশাসন সঙ্গে থাকে। সাহায্য চাইলে পাওয়া যায়। কোনও সমস্যা হলে সংগঠনের নম্বরেই ফোন করতে পারেন তাঁরা।’’ তবে একটি হেল্পলাইন চালু করার কথাও চিন্তাভাবনা করছেন তাঁরা।
ডিসি (পূর্ব) গৌরব লাল বলেন, ‘‘রাত পর্যন্ত আমাদের নজরদারি চলে সমস্ত এলাকায়। তার বাইরেও মহিলা চালকদের কোনও সমস্যা হলে তাঁরা সবসময় আমাদের জানাতে পারেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy